Advertisement
Advertisement

Breaking News

এবার RTI-এর আওতায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, রাজ্যপালও

ঐতিহাসিক রায় শীর্ষ আদালতের

CJI, governors should come under RTI: SC
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 7, 2017 3:58 am
  • Updated:July 7, 2017 3:58 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক :  তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় এবার আসতে চলেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদও। এক ঐতিহাসিক রায়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট একথা জানিয়েছে। বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও অমিতাভ রায়ের বেঞ্চ এদিন জানায় স্বচ্ছতা আনতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। প্রধান বিচারপতির অফিসকে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় এনে বিচারপ্রক্রিয়ার গ্রহণযোগ্যতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়বে বলেই পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের। পাশাপাশি, রাজ্যের রাজ্যপালদেরও এই আইনের আওতাভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

[দাঙ্গায় উসকানি, রাজ্যে ‘নিষিদ্ধ’ হতে চলেছে কয়েকটি হিন্দু ও মুসলিম সংগঠন]

Advertisement

এই ইস্যুতে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়। জমা পড়ে পিটিশনও। সেই সব পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের পরেই এই রায় দেয় শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বম্বে হাই কোর্টের রায়কেও সামনে রাখে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের জুলাই আগষ্ট মাসে গোয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৎকালীন রাজ্যপাল একটি রিপোর্ট পাঠান রাষ্ট্রপতির কাছে। সেই রিপোর্ট সম্পর্কে জানতে চেয়ে আরটিআই বা তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় মামলা দায়ের হয়। এই ইস্যুতে বম্বে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল রাজ্যপাল পদটি সাংবিধানিক ও এই পদের স্বচ্ছতা বজায় রাখা প্রয়োজন। এই মামলা দায়ের করেছিলেন গোয়া বিধানসভার তৎকালীন বিরোধী দলনেতা মনোহর পারিকর।

[এই শর্ত পূরণ করলে আর বাধ্যতামূলক নয় আধার-প্যান ‘লিঙ্ক’]

কেন্দ্রের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে এই মামলায় সওয়াল করেন সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমার। তাঁর বক্তব্য ছিল প্রধান বিচারপতি ও রাজ্যপালের পদকে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় আনলে দেশের সার্বভৌমত্বের ক্ষতি হতে পারে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সর্বসমক্ষে প্রকাশ করলে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। তাই এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদকে আরটিআই-এর আওতার বাইরে রাখা হোক।

[OMG! মোদিকে ‘শয়তান’ বলে অপমান ‘বিগ বস’ খ্যাত এই তারকার!]

তবে তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে সহমত হয়নি শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এই দুই পদ সম্পর্কে কোনও তথ্যই গোপনীয় নয় বলে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের। কেন রাজ্যপাল ও প্রধান বিচারপতির পদ এর আওতায় আসবে না, তার ব্যাখ্যাও কেন্দ্রের কাছে চায় শীর্ষ আদালত। যদিও তার জবাবে সন্তোষমূলক কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি কেন্দ্রের কাছ থেকে। তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় বিচারবিভাগের সর্বোচ্চ পদটি আসবে কিনা, তা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। তবে এই প্রথম এই ইস্যুতে দিশা দেখাল ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement