সংবাদ প্রতিদিন জিজিটাল ডেস্ক: সুবিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হন বিচারপ্রার্থীরা। এমনকী, প্রশাসনিক বেনিয়ম কিংবা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন নাগরিকরা। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার রায় দেন বিচারপতিরা। কিন্তু, এবার যে শান্তির মুখে পড়লেন খোদ বিচারকই! কিশোরী পরিচারিকাকে নিগ্রহের অভিযোগে নিম্ন আদালতের এক বিচারককে সাসপেন্ড করল উত্তরাখণ্ড হাই কোর্ট।
[কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৮: একধাক্কায় অনেকটাই বাড়ছে মোবাইলের দাম]
অভিযুক্ত বিচারকের নাম দীপালি শর্মা। হরিদ্বার জেলার দায়রা আদালতের অন্যতম প্রবীণ বিচারক তিনি। কিশোরী মেয়েকে ভালভাবে মানুষ করার জন্য ওই বিচারকের বাড়িতে রেখেছিলেন নৈনিতালের বাসিন্দা হেমচন্দ্র দানি। প্রায় চার বছর ধরে অভিযুক্তের বাড়িতে ছিল ওই কিশোরী। গত সপ্তাহে দায়রা আদালতের বিচারক দীপালি শর্মার বাড়ি থেকে গুরুতর আহত অবস্থা তাঁকে উদ্ধার করেন হরিদ্বারের জেলা জজ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলার সহকারী পুলিশ সুপার ও চাইল্ড হেল্প লাইনের আধিকারিকরাও। সরকারি হাসপাতালে আহত কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষায় হয়। দেখা যায়, মাথা-সহ শরীরে ২০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এমনকী, শরীরে পোড়ার দাগও মেলে। হরিদ্বারের পুলিশ সুপার ভিকে কৃষ্ণন কুমার জানিয়েছেন, পড়াশোনার জন্যই ওই কিশোরীকে বিচারকের বাড়িতে রেখে গিয়েছিলেন তার বাবা। কিন্তু, তাকে দিয়ে জোর করে পরিচারিকার কাজ করানো হত। চলত শারীরিক নির্যাতনও।
[রোজভ্যালি কাণ্ডে অবশেষে জামিন তাপস পালের, ১ কোটি টাকার বন্ডে মিলল মুক্তি]
গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে উত্তরাখণ্ড হাই কোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করেন হরিদ্বারের জেলা জজ রাজেন্দ্র সিং। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই অভিযুক্ত দায়রা বিচারক দীপালি শর্মাকে সাসপেন্ড করেছে হাই কোর্ট। সাসপেন্ড থাকাকালীন উত্তরাখণ্ডে প্রত্যন্ত জেলা তেহরি গাড়োয়া জেলার একটি আদালতের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন অভিযুক্ত বিচারক। এদিকে যথারীতি কিশোরীকে নিগ্রহ করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দায়রা বিচারক দীপালি শর্মা। তাঁর দাবি, ওই কিশোরীকে তিনি নিজের সন্তানের মতোই দেখতেন।
[মৃত্যুর আগে সত্যিই কি ‘হে রাম’ বলেছিলেন গান্ধীজি?]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.