সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। এতে ক্যানসার হয়। কিন্তু রানিকে কে বোঝাবে? সিগারেট বা এক বান্ডিল বিড়ি ছাড়া তার চলে না। তবে এই রানি কিন্তু কোনও মানুষ নয়। কর্নাটকের মান্ডিয়ার একটি ভেড়া। সিগারেট না পেলে লোকজনদের দিকে রীতিমতো শিং উঁচিয়ে তেড়ে আসে সে। আর সিগারেট পেলেই নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে। এমনকী, ধোঁয়ার গন্ধ ছাড়া খাবার খেতেও চায় না রানি। আদরের পোষ্যটিকে রোজকার খাবার দিতেই হিমশিম খান ইয়াওয়ান্ত। তার ওপর নামীদামি সিগারেট। কথায় বলে, ধূমপায়ীরা নাকি ধূমপানের ভাগ দিতে চায় না। যদিও ইয়াওয়ান্তের দাবি, তাঁর কাছ থেকে সিগারেটের কাউন্টার নিতেও নাকি আপত্তি নেই ভেড়াটির। সিগারেট না পেলে ফেলে দেওয়া তামাকের প্যাকেট শুঁকতেও কসুর করে না রানি।
[জীবনের ভার বড্ড বেশি, রাষ্ট্রপতির দরবারে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন দম্পতির]
কথায় বলে ছাগলে কী না খায়। এক্ষেত্রে প্রাণীটি অবশ্য ভেড়া। তাই বলে সিগারেট-বিড়ি? রীতিমতো যাকে বলে চেন স্মোকার রানি নামের এই ভেড়াটি। কিন্তু কীভাবে হল এমনটা? মাত্র দু’মাস বয়স থেকে কোনওভাবে তামাকের স্বাদ পেয়ে গিয়েছিল রানি। এখন তামাকে রীতিমতো আসক্ত হয়ে পড়েছে প্রাণীটি। তবে ঠিক সিগারেট টানা নয়, বরং তামাক চিবিয়ে খাওয়াই ভেড়াটির নেশা। মুখের সামনে একগুচ্ছ ঘাস দিলে মুখ ফিরিয়ে নেয় সে। কিন্তু, একটা সিগারেট দিলেই, মানুষের মতোই সুখটান দিতে থাকে। কড়মড় করে চিবিয়ে খেয়ে ফেলে তামাকপাতাও। রানির মালিক জানালেন, সিগারেট না পেলে রানির জন্য আনতে হয় বিড়ির বান্ডিল। অনেক সময় আবার স্থানীয় বাসিন্দারাও ভালবেসে ভেড়াটিকে দু-চারটে বিড়ি-সিগারেট খাইয়েও যায়। এই ভেড়াটিকে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় মালিকের বাড়ির পাশের চায়ের দোকানে। সেখানে রানি নামে ভেড়াটির জন্য বরাদ্দ থাকে বেশ কয়েকটা সুখটান।
[ঋতুস্রাব সংক্রান্ত ছুৎমার্গ, নারী সম্মানে পথ দেখাবে হিমাচল]
কী বলছেন পশু চিকিৎসকরা? তাঁরা জানিয়েছেন, ভেড়াটির ধূমপান বা তামাকে আসক্তি আসলে পিকা নামে একটি রোগ। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাসের অভাবে ভেড়া, ছাগলের মতো গবাদিপশুরা যা পায়, তা-ই খায়। একইভাবে তামাকে আসক্ত হয়ে পড়েছে ওই ভেড়াটি। পশুচিকিৎসকের আশঙ্কা, নিয়মিত তামাক শরীরে ঢুকলে, ভেড়াটির আয়ু কমে যেতে পারে। তবে মানুষের মতো পশুরাও যে তামাক বা ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়তে পারে, সেকথা আগেই জানা গিয়েছিল। এবার হাতেগরম প্রমাণ মিলল।
[রাজ্যপালের নাম, জেলার সংখ্যা কত? জানেনই না প্রাথমিকের শিক্ষকরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.