Advertisement
Advertisement

Breaking News

Justice Amrita Sinha

ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলায় হস্তক্ষেপ! বিচারপতি অমৃতা সিনহার বিরুদ্ধে জারি CID তদন্ত

সুপ্রিম কোর্ট সিআইডিকে আইন মেনে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।

CID probe against justice Amrita Sinha to continue । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:December 2, 2023 9:18 am
  • Updated:December 2, 2023 9:20 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্তে হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছিল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বিরুদ্ধে। শীর্ষ আদালতে এক বৃদ্ধা অভিযোগ জানান, হাই কোর্টের বিচারপতি ও তাঁর আইনজীবী স্বামী তদন্তকারী সংস্থার উপর চাপ দিয়ে তদন্তে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছেন। শুনানির পর তদন্তে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করা হয়েছিল কি না, রাজ্য সরকারকে মুখবন্ধ খামে তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সর্বোচ্চ আদালত। তদন্তে অগ্রগতি নিয়ে মুখবন্ধ খামে সেই রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে পেশ করেছেন রাজ্য সরকারের আইনজীবী।

শীর্ষ আদালতকে জানানো হয়েছে যে, ১৬০ নম্বর ধারায় বিচারপতির স্বামী তথা আইনজীবী প্রতাপ দে এবং বিচারপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু এখনও তার জবাব মেলেনি। পাশাপাশি, হাই কোর্ট প্রাঙ্গণের সিসিটিভি ফুটেজের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু ফুটেজ নেই বলে তা দিতে অপারগ বলে জানিয়েছে হাই কোর্ট কর্তৃপক্ষ। সওয়াল শুনে ও রিপোর্ট খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্ট তদন্তকারী সংস্থা সিআইডিকে আইন মেনে তদন্ত চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছে। জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে মামলাটির ফের শুনানি হবে। সেদিন নতুন রিপোর্ট পেশের কথাও বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। এদিন আবেদনকারীদের পক্ষে সওয়াল করেন সিনিয়র আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ও নীনা নরিম্যান। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সুনীল ফার্নান্ডেজ ও আস্থা শর্মা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: স্ত্রীর নগ্ন ছবি স্বামীকে পাঠিয়ে টাকা আদায়ের ছক! ফিল্মি কায়দায় যুবককে ধরল পুলিশ]

উল্লেখ্য, আইনত পৈতৃক সম্পত্তি পেলেও তাঁর দাদার পরিবার তা থেকে তাঁকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে বলে বৃদ্ধা অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, সে জন্য মারধরও করা হয়। যার প্রমাণ রয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। তিনি আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেন। তাঁর আত্মীয়দের হয়ে মামলা লড়ছিলেন বিচারপতির স্বামী। বৃদ্ধার দাবি, স্ত্রীর পদমর্যাদা কাজে লাগিয়ে তদন্তে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন আইনজীবী। বৃদ্ধার আরও অভিযোগ, বিচারপতির দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল তদন্তকারী অফিসারকে। তাঁকে রীতিমতো ধমক দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বৃদ্ধার। এই অভিযোগের তদন্ত এবং নিজের পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে ওই বৃদ্ধা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

[আরও পড়ুন: টেলিফোন বুথ থেকে ৭ কলেজের মালিক, রকেট গতিতে উত্থান ডোমকলের বিধায়ক জাফিকুলের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement