সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীদের পরিচয় বা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে গোপনীয়তায় আপত্তি নেই। কিন্তু, এক মাসের মধ্যে বিদেশ সফরে মোদির সফরসঙ্গীদের নাম প্রকাশ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর বা পিএমও-কে এই নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার আর কে মাথুর। জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গীদের নাম প্রকাশে আপত্তি তুলেছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেই আপত্তি ধোপে টিকল না।
[পকোড়া বিক্রি কর্মসংস্থান হলে ভিক্ষাবৃত্তিও তাই, মোদিকে জোরাল আক্রমণ চিদম্বরমের]
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসা পর থেকেই মোদির বিদেশ সফর নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি কংগ্রেস-সহ কোনও বিরোধী দলই। তবে বিরোধীদের সমালোচনাকে পাত্তাই দেন না মোদি। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈঠকে যোগ দিতে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ঘটনা হল, বিরোধীদের সমালোচনাকে পাত্তা না দিলেও, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনে মুখ পড়ল সরকারের। সরকারের আপত্তি খারিজ করে, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের নাম প্রকাশ করার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার আর কে মাথুর। প্রধানমন্ত্রী দপ্তর বা পিএমও-কে ৩০ দিন সময় দিয়েছেন তিনি।
[বাজেটের আগে বিজেপির ডাকে সর্বদল বৈঠক, আধার নিয়ে সরব তৃণমূল]
ঘটনাটি ঠিক কী? তথ্য জানার অধিকার আইনে বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের নাম জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী দপ্তরের আবেদন করেছিলেন নীরজ শর্মা ও আয়ুব আলি নামে দুই ব্যক্তি। কিন্তু, নিরাপত্তা কারণ দেখিয়ে সেই আবেদন খারিজ করে দেয় পিএমও। এরপরই কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের দ্বারস্থ হন আবেদনকারীরা। শুনানি চলাকালীন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনারকে তাঁরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীর তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব নয়। তবে কেন্দ্রীয় সেই যুক্তি অবশ্য খারিজ করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনার আর কে মাথুর। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তাঁর নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত নন, এমন লোকদের নাম বা তালিকা অবশ্যই আবেদনকারীকে দিতে হবে। এটাই কমিশনের মত।
[বিজেপিকে ভোট নয়, পড়ুয়াদের শপথবাক্য পাঠ করাচ্ছেন শিক্ষক! ভাইরাল ভিডিও]
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির সিইও ও বণিকসভার প্রতিনিধিরাও বিদেশ সফরে যান। তাঁদের নামের তালিকাও পিএমও-র কাছে চেয়েছিলেন নীরজ শর্মা ও আয়ুব আলি।
[‘মিত্রোঁ’, ‘নোটবন্দি’কে হারিয়ে অক্সফোর্ডের বর্ষসেরা হিন্দি শব্দ ‘আধার’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.