সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: না কোনও মৃতদেহ নয়, শুধুই কাটা হাত। ওড়িশার কলিঙ্গনগরের জাজপুর এলাকায় এই কাটা হাত উদ্ধার ঘিরেই ছড়িয়েছে আতঙ্ক। সন্ত্রাস, নাকি অলৌকিক ঘটনা। কাটা হাতের পিছনের রহস্য কী? এই নিয়ে এখন রীতিমতো সন্ত্রস্ত জাজপুর এলাকার বাসিন্দারা। আসলে রবিবারই স্থানীয় একটি ক্লাবঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৫ জোড়া কাটা হাত । সেই হাতগুলির উৎস কী, তা নিয়েই এখন চলছে গুঞ্জন।
স্থানীয় পুলিশ সুপার সিএস মীনা জানাচ্ছেন, শনিবার রাতে কয়েকজন দুষ্কৃতী চুরি করার উদ্দেশ্যে ওই পুরনো ক্লাবঘরটিতে ঢোকে। সেখানেই তারা কাচের পাত্রের ভিতর সংরক্ষিত অবস্থায় ৫ জোড়া কাটা হাত দেখতে পায়। কাচের পাত্রগুলি নিয়েই ঘটনাস্থল থেকে পালায় তারা। পরে তা ক্লাবঘরের অদূরেই পুঁতে ফেলা হয়। অনুসন্ধান করতে গিয়ে ওই কাচের পাত্র এবং ১০ টি কাটা হাতের সন্ধান পায় পুলিশ। তারপরই এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। কাটা হাতগুলি কার? যদি কাউকে খুন করা হয়ে থাকে তাহলে তার দেহই বা কোথায় গেল? এই নিয়ে একদিকে যেমন গুঞ্জন চলছে, অন্যদিকে তেমনই ছড়িয়েছে আতঙ্কও। গোটা এলাকা নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে, মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী।
পুলিশের ধারণা, ১২ বছর আগে পুলিশের গুলিতে মৃত আদিবাসীদের কাটা হাতগুলিই ওই ক্লাবঘরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছিল। আসলে ২০০৬ সালে ওই জাজপুর এলাকাতেই বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশের গুলিতে ১৩ জন আদিবাসীর মৃত্যু হয়। সেই দেহগুলির মধ্যে ৫ জনকে সনাক্ত করতে চায়নি তাদের পরিবার। কার্যত বাধ্য হয়ে ময়নাতদন্তের সময় সেই পাঁচজনের দেহ থেকে হাতগুলি কেটে নেন চিকিৎকরা। তাদের দাবি ছিল, ভবিষ্যতে মৃত ওই পাঁচ আদিবাসীর নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তাদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে তা প্রমাণ করা যাবে। কাটা হাতগুলি মৃতদের পরিবারকেই ফেরত দেওয়া হয়। মনে করা হচ্ছে, সেই হাতগুলিকেই ওই ক্লাবঘরে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.