সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী এবছরই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা বিহারে। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বছরের শেষের দিকেই নতুন সরকার পাবে রাজনৈতিকভাবে অতি গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যটি। ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিহারের এবারের লড়াইয়েও খাতায় কলমে বিরোধীদের থেকে কিছুটা এগিয়েই শুরু করছে এনডিএ (NDA) শিবির। লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav) জেলে থাকায় অনেকটাই দুর্বল বিরোধী শিবির। তবে, এনডিএ’র সমস্যা বিরোধীরা নয়, বরং জোট শরিকদের কোন্দল অনেক বেশি চিন্তায় রাখবে নীতীশ কুমারকে (Nitish Kumar)।
প্রায় মাস চারেক ধরেই বিজেপির জোটসঙ্গী লোক জনশক্তি পার্টি নিয়মিত আক্রমণ করছে নীতীশ কুমারকে। ভোট যত এগিয়ে আসছে আক্রমণের ঝাঁজ তত বাড়ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের ছেলে চিরাগ পাসওয়ান (Chirag Paswan) এখন লোক জনশক্তি পার্টির নেতৃত্বে। চিরাগের বাবা এমনিতেই রাজনৈতিক মহলে ‘হাওয়া মোরগ’ হিসেবে পরিচিত। এবার চিরাগও বাবার মতোই পালটি খাওয়া শুরু করবেন কি? সেটাই এখন প্রশ্ন বিহারের রাজনীতিতে। শনিবার চিরাগ পাসওয়ান দলীয় কর্মীদের একপ্রকার বলেই দিয়েছেন, যে আজ নাহয় কাল, তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গ ছাড়বেন। চিরাগকে দলীয় সভায় বলতে শোনা গিয়েছে,”নীতীশ কুমার লালুপ্রসাদের মতোই সাম্রাজ্য চালানোর চেষ্টা করছেন বিহারে। এলজেপি কর্মীরা বিহারের মানুষের ইস্যু নিয়ে সরব হবে।” দলীয় সূত্রের খবর, তিনি একপ্রকার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন আগামী নির্বাচনে তাঁর দল নীতীশকে সমর্থন করবে না। প্রকাশ্যে চিরাগকে বলতে শোনা গিয়েছে, এলজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকের পরই তিনি সমর্থন প্রত্যাহার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে,বিজেপির সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক অটুট থাকবে। সমস্যা শুধু নীতীশকে নিয়ে।
শুধু এলজেপি নয়, নীতীশের বিরুদ্ধে বিজেপির অন্দরেও বিক্ষোভের সুর শোনা যাচ্ছে। দলের অনেক নেতাই পরিযায়ী শ্রমিকদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে আচরণ করেছেন, তা মানতে পারছেন না। বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও রয়েছে চিন্তা। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর জনপ্রিয়তাও একেবারে তলানিতে। এর মধ্যে যদি এলজেপি এভাবে সঙ্গ ছাড়ে তাহলে নীতীশ কুমার রীতিমতো সমস্যায় পড়বে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.