Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিন্ময়ানন্দ

তোলাবাজির জের! চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগকারিণীর ১৪ দিনের জেল

চিন্ময়ানন্দকে বাঁচানোর জন্যই ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।

Arrested law student sent to 14-day judicial custody in extortion case
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:September 25, 2019 1:37 pm
  • Updated:September 25, 2019 1:37 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুলদীপ সিং সেনেগারের পর এবার চিন্ময়ানন্দ। দু’জনকেই ধর্ষণের মামলা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর তার জেরেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা আইনের ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তোলাবাজির অভিযোগে ওই যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের। পরে আদালতে তোলা হলে তাঁকে ১৪ দিনের জন্য বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

[আরও পড়ুন: নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ ও অজিত দোভালকে খুনের পরিকল্পনা জইশ-ই-মহম্মদের]

মঙ্গলবার শাহাজাহানপুরের স্থানীয় আদালতে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন ওই যুবতী। তাঁর আবেদন গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানি করা হবে বলেই জানিয়েছিলেন বিচারক। কিন্তু, তার আগেই বুধবার আইনের ওই ছাত্রীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। অবশ্য মঙ্গলবার আদালতে যাওয়ার পথেই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। তবে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, আদালতে শুনানি হওয়ার আগেই বুধবার সকালে ২৩ বছরের ওই যুবতীকে গ্রেপ্তার করল উত্তরপ্রদেশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।

Advertisement

এই মামলার তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা সিট গঠন করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ধর্ষণের মামলার পাশাপাশি চিন্ময়ানন্দ ওই যুবতী ও তাঁর তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধে যে তোলাবাজির অভিযোগ করেছেন তারও তদন্ত করছে সিট। মঙ্গলবার সেই মামলায় ধৃত সঞ্জয়, সচিন ও বিক্রম নামে তিন যুবকের জামিনের আবেদন খারিজ করে আদালত। যে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে চিন্ময়ানন্দের কাছ থেকে তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা উদ্ধার করার জন্যই সচিন ও বিক্রমকে ৯৫ ঘণ্টার জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে সিট।

[আরও পড়ুন: ২৫ হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ, মামলা শরদ পওয়ারের বিরুদ্ধে]

সূত্রের খবর, সিটের জেরায় অভিযুক্তরা যে ফোন থেকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে টাকা চেয়েছিল সেটা ফেলে দিয়েছে বলে দাবি করে। রাজস্থানের মেহান্দিপুর বালাজি এলাকায় ওই ফোনটি ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানায়। এর পাশাপাশি চিন্ময়ানন্দের আইনজীবীর ফোনে টাকা চেয়ে যে মেসেজ এসেছে তা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানানোর পর থেকে তাঁর উপর প্রচণ্ড চাপ আসছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। প্রাক্তন ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গ্রেপ্তার হওয়ার পরেও ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সন্দিহান ছিলেন তিনি। মামলার চার্জশিটে ধর্ষণের অভিযোগ না থাকায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা লঘু করার অভিযোগও আনেন। বলেন, এই মামলায় ন্যায়বিচার পাওয়ার যে কোনও সম্ভাবনা নেই তা আগেই জানতাম। আমাকে কীভাবে দিনের পর দিন ধর্ষণ করা হয়েছে তা পুলিশকে খুলে বলেছিলাম। কিন্তু, তারপরও ওর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হল না। উলটে আমার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। যে ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্কই নেই।’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement