সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৯৬২ সালে পিঠে ছুরি মেরেছিল চিন (China)। ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’ স্লোগান দিয়ে আচমকাই ভারতীয় ভুখণ্ডে হামলা চালিয়েছিল লালফৌজ। এবারও তাই করছে কমিউনিস্ট দেশটি। নেহেরুর ‘হিমালয়ান ব্লান্ডার’ থেকে শিক্ষা না নিলে মোদি সরকারকেও দিতে হবে চরম মূল্য। চিনের অভিসন্ধি স্পষ্ট করে জানা গিয়েছে, যে পেট্রোলিং পয়েন্ট-১৪-কে (PP 14) ঘিরে সংঘর্ষে শহিদ হতে হয় ২০ জন সেনাকে, তার কাছে ফের ভারতের এলাকা দখল করে বসে পড়েছে লালফৌজ।
সেনা সূত্রে খবর, নতুন করে কোনও পরিকাঠামো নির্মাণ না করলেও PP 14 ও নিকটবর্তী এলাকায় বেড়েছে চিনা সেনার টহল। ফলে PP 10, 11, 11A, 12 এবং 13-এ পৌঁছতে পারছেন না ভারতীয় জওয়ানরা। এই মুহূর্তে লাদাখের একটি বড় অংশ দখল করে ফলেছে চিনারা। যার মধ্যে পড়ছে বটলনেক পয়েন্ট বা ওয়াই জংশন পেট্রোলিং পয়েন্ট, ভারতের মধ্যে হলেও যা বর্তমানে চিনের দখলে। ওই ওয়াই জংশন পয়েন্ট থেকেই P 10, 11, 11A, 12 এবং 13 যাওয়ার রাস্তা। কিন্তু চিনা সেনারা বসে থাকায় আপাতত সেই এলাকায় পৌঁছতে পারছে না ভারতীয় সেনা। এর ফলে কয়েকশো বর্গ কিলোমিটার এলাকায় নজরদারি বন্ধ রাখতে হয়েছে ভারতকে। উল্লেখ্য, ওয়াই জংশন থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে লাদাখের বুরৎসে এলাকায় রয়েছে ভারতীয় সেনার ছাউনি। সেখান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দৌলত বেগ ওলডি ফরওয়ার্ড বেস। ২০১৩ সালে একবার বুরৎসে এলাকায় ভারতীয় সেনা ছাউনির ১ হাজার ৫০০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছিল চিনা ফৌজ।
এদিকে, সীমান্তে স্থিতাবস্থা ভাঙার চেষ্টা হলে তার পরিণতি খারাপ হবে বলে ফের চিনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির স্পষ্ট বক্তব্য, গায়ের জোরে স্থিতাবস্থার বদল ঘটাতে চাইলে শান্তি বিঘ্নিত তো হবেই সেই সঙ্গে অভিঘাত অনিবার্য হয়ে উঠবে। তার ফল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেও আন্দোলিত করবে বলেই কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি (Vikram Misri)। ভারতের সেনাপ্রধান এমএম নারাভানেও শুক্রবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, চিনা বাহিনীকে শিক্ষা দিতে ভারতীয় সেনা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সবরকম সামরিক প্রস্তুতি গ্রহণও করে ফেলেছেন জওয়ানরা। সেনার প্রস্তুতির কথা নারাভানে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও জানিয়েছেন বলে বিশেষ সূত্রে খবর। লাদাখ ঘুরে এসে সেনাপ্রধানের এই ব্রিফিং ভারতের মনোবলকেও বৃদ্ধি করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.