সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডোকলাম সীমান্তে রাস্তা তৈরি করা নিয়েই ভারত ও চিনের সংঘাত চরমে উঠেছিল। খবর মিলেছে, এবার শীত পড়তেই ডোকলামে স্থায়ীভাবে সেনাও মোতায়েন করেছে চিন। তৈরি করা হয়েছে হেলিপ্যাড, রাস্তা-সহ একাধিক পরিকাঠামো। আর এবার ডিসেম্বরের কনকনে ঠাণ্ডায় অরুণাচল প্রদেশে রাস্তা তৈরির সরঞ্জাম নিয়ে ভারতীয় ভু-খণ্ডে ঢুকে পড়ল চিনা সেনা। সেনা সূত্রে খবর, ভারতীয় ভূ-খণ্ডের প্রায় ২০০ মিটার ভিতরে আপার সিয়াং প্রদেশের একটি গ্রামে খুব কাছে চলে এসেছিল লালফৌজ। তবে ভারতীয় সেনার বাধা পেয়ে ফিরে যায় তারা।
[উসকানিমূলক ভাষণের অভিযোগ, জিগনেশ-উমরের বিরুদ্ধে পুণেতে FIR দায়ের]
অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে ভারত ও চিনের বিবাদ দীর্ঘদিনের। উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের একটি অংশকে নিজেদের বলে দাবি করে বেজিং। বস্তুত, যখনই ভারতের কেউ অরুণাচল প্রদেশ সফরে যায়, তখনই প্রতিবাদ জানায় চিন। এমনকী, কয়েক মাসে খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের অরুণাচল প্রদেশ সফরের সময়েও কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল চিনা বিদেশমন্ত্রক। চিনা সেনার অনুপ্রবেশও নতুন কিছু নয়। কিন্তু, ঘটনা হল এর আগে অরুণাচল প্রদেশে শীতকালে কখনও চিনা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটেনি।
[জাতি হিংসায় জ্বলছে মহারাষ্ট্র, মোদিকে ‘মৌনী বাবা’ বলে কটাক্ষ কংগ্রেসের]
অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সিয়াং প্রদেশের সীমান্ত লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি, ডিসেম্বরের শেষের দিকে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের ভু-খণ্ডে প্রায় ২০০ মিটার পর্যন্ত ঢুকে পড়েছিল লালফৌজ। তাদের সঙ্গে ছিল রাস্তা তৈরির যন্ত্রপাতি। সিয়াং নদীর পূর্ব পাড়ে তুতিং মহকুমার বিসিং গ্রামের কাছে চিনা সেনাকে আটকায় ভারতীয় জওয়ানরা। রাস্তা তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপরই নিজেদের ভূ-খণ্ডে ফিরে যায় ভিনদেশিরা। স্থানীয় এক বাসিন্দার দাবি, তাঁদের গতিবিধির উপরও সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যদিও অরুণাচল প্রদেশের সাম্প্রতিকতম চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি সেনাবাহিনী। পূর্ব সিয়াং জেলার ডেপুটি কমিশনার দুলি কামডাকও জানিয়েছেন, বিষয়টি তাঁর জানা নেই । সেনার তরফে চিনা অনুপ্রবেশ নিয়ে কোনও খবর পাঠায়নি। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরেই ভারত সফরে এসেছিলেন স্টেট কাউন্সিলর ইয়াং জিয়েচি। নয়াদিল্লিতে তাঁর সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল।
[দুর্ঘটনাগ্রস্ত বায়ুসেনার মিগ-২৯, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা চালকের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.