সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের কি ডোকলামের আকাশে সংঘাতের মেঘ? অচলাবস্থা কাটলেও এবার ফের একবার ভারত-চিন-ভুটানের বিতর্কিত সংযোগস্থলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চিনের সেনা। উদ্বেগ উসকে, শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল বিপিন রওয়াত।
[সাঁড়াশি চাপে জাকির নায়েক, তাকে ফেরাতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় ভারত]
প্রায় তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ডোকলাম বিবাদে যুদ্ধের মুখে পৌঁছে গিয়েছিল পারমাণবিক শক্তি সম্পন্ন দুই পড়শি দেশ। তবে দিল্লি ও বেজিংয়ের মধ্যে বিস্তর আলোচনার পর গত আগস্ট মাসে কাটে অচলাবস্থা। ডোকলামে সড়ক নির্মাণের কাজ বন্ধ করে চিন। তারপরই দু’তরফ থেকেই সেনা প্রত্যাহার করা হয়। এমনই পরিস্থিতিতে ফের একবার উদ্বেগ সৃষ্টি করে সেনাপ্রধান রাওয়াত জানালেন, ওই এলাকায় এখনও রয়েছে লালফৌজ। আগ্রাসন রুখতে রয়েছে ভারতীয় সেনার জওয়ানরাও। তবে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি জানান, দুপক্ষই ‘নন-কমব্যাট’ মোডে রয়েছে। অর্থাৎ দুই সেনাই সংঘাত এড়িয়ে চলতে চাইছে।
সেনার এক অনুষ্ঠানে কাশ্মীর সমস্যা নিয়েও মুখ খোলেন জেনারেল রাওয়াত। সেনার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তিনি জানান যে কাশ্মীর উপত্যকায় এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে দোষীদের রেয়াত করা হবে না। এদিন কাশ্মীরি যুবকদের সন্ত্রাসবাদ পরিহার করার আরজিও জানান সেনাপ্রধান। তিনি আরও বলেন, উপত্যকায় সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়াও খানিকটা দায়ী। এর মাধ্যমেই যুব প্রজন্মের মগজ ধোলাই করছে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি।
সম্প্রতি দিল্লির উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে উপগ্রহ থেকে পাওয়া বেশ কয়েকটি ছবি। ওই ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে, ডোকলাম থেকে ১০-১২ কিলোমিটার উত্তরে একটি নতুন সড়ক নির্মাণ করছে চিন। চিন ও ভুটানের মধ্যে একটি বিতর্কিত এলাকা রয়েছে, ইয়াতুং নামে। সম্ভবত সেখানে মোতায়েন চিনা সেনা ছাউনির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য এই রাস্তা বানাচ্ছে তারা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন থিম্পুর উপর দিল্লির প্রভাব খর্ব করার চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। ভুটানকে নিজের দিক টানতে পারলে চরম বেকায়দায় পড়বে ভারত। ফলে পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে দিল্লি।
[বেজিংয়ের ভোলবদল, মোদির কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলার শপথ চিনা প্রেসিডেন্টের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.