সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১৫ জুনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ থেকে শিক্ষা নিয়েছে চিন। এবার আর কথার খেলাপ করেনি লালফৌজ। গালওয়ানের (Gallowan) একাধিক বিতর্কিত এলাকা থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে ড্রাগন। যার প্রমাণ মিলল স্যাটেলাইট ইমেজে। মঙ্গলবার একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম গালওয়ান উপত্যকার বর্তমান পরিস্থিতির উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ করেছে। যাতে দেখা যাচ্ছে, প্রকৃত সীমান্তরেখার দু’ধারে চিনা সেনা যে অস্থায়ী ছাউনিগুলি তৈরি করেছিল, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। গালওয়ান নদীর তীরে লালফৌজের গতিবিধিরও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ২৮ জুন উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল, গালওয়ান নদীর ধারে চিনা সেনা অস্থায়ী ত্রিপলের ছাউনি তৈরি করেছে। প্রকৃত সীমান্তরেখার (LAC) এপারে প্রায় ৪২৩ মিটার এলাকা পর্যন্ত ওই ছাউনির অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছিল। পাথরের আড়ালের সেই ছাউনিগুলি সৈনিকদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য তৈরি হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে। ৬ জুলাইয়ের ছবি বলছে, গালওয়ান নদীর দুই তীর তথা সীমান্তরেখার দু’ধারের সেই অস্থায়ী ছাউনিগুলো উধাও। ওই এলাকায় চিনা সেনার আনাগোনার যে প্রমাণ মিলেছিল সেটাও আর নেই।
এমনকী পেট্রল পয়েন্ট ১৪-তে (PP 14) যেখানে ১৫ জুন ভারত ও চিনা সেনার সংঘর্ষ হয়েছিল, সেখানেও আর চিনা সেনার কোনও ছাউনির অস্তিত্ব নেই বলে প্রমাণ মিলেছে উপগ্রহ চিত্রে। সূত্রের খবর, ১৫ জুন রাতে যেখানে সংঘর্ষ হয়েছিল, সেখান থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চিনা সেনা। এর মধ্যে চিনের অস্থায়ী যে ছাউনিগুলি তৈরি হয়েছিল, সেগুলিও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ জুনের সংঘর্ষের পর শান্তি ফেরানো নিয়ে দুই দেশের সেনা কর্তারা মোট তিন দফায় বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর, এই ৩ দফার বৈঠকে সীমান্ত সমস্যার স্থায়ী কোনও সমাধানসুত্র না বেরলেও দুই দেশই গালওয়ান-সহ কয়েকটি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সেনা প্রত্যাহারের ব্যপারে ঐক্যমত হয়েছে। গত ৩০ জুনের বৈঠকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে চূড়ান্ত রোডম্যাপও তৈরি হয়েছে। সেদিনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই দুই দেশ সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে বলে সূত্রের দাবি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.