সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একা রামে রক্ষে নেই, সুগ্রীব দোসর! গালওয়ান উপত্যকায় উত্তেজনার মধ্যেই সিকিম সেক্টরে চোখ রাঙাচ্ছে লালফৌজ। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত দুদিন আগে ডোকলাম মালভূমিতে রেইকি করে গিয়েছে চিনা সেনা। ভুটান সেনার আউটপোস্টে বেশ কিছুক্ষণ তারা সময় কাটিয়ে ডোকলাম পর্যন্ত এগিয়ে আসে। তারপর সেখানকার ভূ-কৌশলগত ছবি তোলে চিনারা। মিনিট তিরিশেক সময় ছিল তারা। ডোকলাম সীমান্তে ৫-৬ জন পিএলএ জওয়ানকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল বলে নয়াদিল্লি সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে এই জুন মাসেই প্রথম ভারত-চিন সংঘাত শুরু হয় ডোকলাম নিয়ে। সেইসময় টানা ৭২ দিন ভারত-চিনের সেনা মুখোমুখি ছিল। তারপর থেকে প্রতি মাসে এক-দুবার লালফৌজ ভুটান-চিন-ভারত সীমান্ত সংযোগকারী এই মালভূমিতে টহল দিয়ে যায়। দু-একদিন থেকে চলে যায়। ভুটান সেনার আউটপোস্টেই থাকে তারা। এ নিয়ে ভারতের তরফে কোনও বাধা দেওয়া হয় না। সেনা আধিকারিকদের কথায়, ডোকলামে ভারতীয় সেনাও টহল দেয়। চিনা সেনাকে বাধা দেওয়ার কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু ডোকলামে কোনও নির্মাণের মতলব রয়েছে চিনের। পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ নিতে হবে।
নেপালের সঙ্গে ড্রাগনের সখ্যতা নিয়ে আগেই অসন্তুষ্ট বিদেশমন্ত্রক। কিন্তু ইদানীং আরেক প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভুটানের সঙ্গে চিনের সখ্যতা নিয়ে কিছুটা চিন্তায় ভারত। ভুটানের আউটপোস্ট গুলিতে আগে বছরভর সেনা থাকত না। ২০১৭ সালের ডোকলাম বিবাদ মাথাচাড়া দেওয়ার পর থেকে ভুটানের সেনাবাহিনী সেখানে কড়া প্রহরায় রয়েছে। ভুটান এখন চিনের ‘বাফার’ হিসাবে কাজ করছে কি না তা নিয়ে ভারতীয় সেনার অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। যে ৫-৬ জন চিনা সেনা ডোকলামের কৌশলগত ছবি তুলছিল, তাদের দেখে মালভুমিক নিচে লালফৌজের অবস্থান রয়েছে কিনা তা খোঁজ রাখছে ভারতীয় সেনা। শিলিগুড়ি থেকে আকাশপথে ডোকলামের দূরত্ব মাত্র ২৭ কিমি। সুতরাং প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, ডোকলামে চিনের কার্যকলাপে কড়া নজর রাখতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.