সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে আগ্রাসী চিন (China)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর নতুন মহাশক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে কমিউনিস্ট দেশটি। এবার প্রতিরক্ষা মহলে উদ্বেগ বাড়িয়ে ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবহরের গতিবিধি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল আর হরিকুমার।
The Chinese navy has been present in Indian Ocean Region since 2008 and they have seven to eight warships here. There is constant surveillance by our aircraft and ships and their activities are kept under close watch: Navy Chief Admiral R Hari Kumar pic.twitter.com/5TpsKchZ8o
— ANI (@ANI) December 3, 2021
এক সংবাদ সম্মেলনে নৌসেনা প্রধান হরিকুমার বলেন, “২০০৮ সাল থেকেই ভারত মহাসাগরে চিনা নৌবাহিনী মজুত রয়েছে। সম্প্রতি এই অঞ্চলে তাদের আট থেকে দশটি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। চিনা নৌবাহিনীর গতিবিধির উপর আমাদের বিমান ও রণতরীগুলি কড়া নজর রাখছে।” বেজিং যে ভবিষ্যতে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে সেই ইঙ্গিত দিয়ে তিনি আরও বলেন, “আমরা জানতে পেরেছি যে বিগত কয়েক বছরে চিন অন্তত ১১০টি যুদ্ধজাহাজ তৈরি করেছে। সেইমতো আমরা রণকৌশল স্থির করব। আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি যে দেশের জলসীমার সুরক্ষা ভারতীয় নৌসেনা সক্ষম।”
বলে রাখা ভাল, লাদাখে সীমান্ত সংঘাতের পর থেকেই মুখোমুখি ভারত (India) ও চিনের সেনাবাহিনী। এহেন পরিস্থিতিতে ভারত মহাসাগরে সুমাত্রার পশ্চিমে নজরদারি চালাচ্ছে ‘শিয়াং ইয়াং হং ০৩’ নামের চিনা জাহাজ বলে আগেই জানা গিয়েছিল। উপগ্রহ ছবিতেও চিনা রণতরীর হদিশ পাওয়া গিয়েছে। উল্লেখ্য, চিনা নৌসেনার গতিবিধির উপর তীক্ষ্ণ নজর রেখেছে ভারত। নয়াদিল্লি সাফ জানিয়েছে, ভারতীয় জলসীমায় কোনও ধরনের অনুপ্রবেশ মেনে নেওয়া হবে না। যদিও এহেন আগ্রাসী কার্যকলাপের পরও বেজিংয়ের দাবি, জলদস্য দমনের জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমায় নৌবহর পাঠাচ্ছে তারা।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে এডেন উপসাগরে সোমালিয়ার (Somalia) জলদস্যুদের উপদ্রব প্রচুর বেড়ে যায়। তারপর থেকেই চিন-সহ একাধিক দেশ দস্যুদমন অভিযান শুরু করে। কিন্তু বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করছেন যে সোমালি দস্যুদের কাবু করতে এহেন বিপুল রণসজ্জার প্রয়োজন নেই। অত্যাধুনিক ও বিভিন্ন মিসাইলে সজ্জিত চিনা রণতরীগুলি যেভাবে টহল দিচ্ছে তাতে লালফৌজের আগ্রাসী মনোভাব সাফ হয়ে গিয়েছে। তাই ভারতীয় নৌবাহিনীও যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় সম্পূর্ণ তৈরি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.