Advertisement
Advertisement
আর্থিক কেলেঙ্কারিতে ধৃত চিনা নাগরিক চরবৃত্তিতেও যুক্ত

চিনের চরবৃত্তি, হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে দিল্লি থেকে ধৃত চিনা নাগরিকের নজরে দলাই লামাও!

এখানে বসে হাজার কোটি টাকা এবং গোপন তথ্য চিনে পাচার করত ধৃত।

Chinese national arrested on Hawala racket also spied on Dalai Lama
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:August 16, 2020 5:39 pm
  • Updated:August 16, 2020 5:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একে হাজার কোটি টাকা হাওয়ালা কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার, তারউপর চরবৃত্তির (Espionage) চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার চিনা নাগরিক লুও স্যাংকে জেরায় যে যে বিস্ফোরক তথ্য পাচ্ছেন তদন্তকারীরা, তাতে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় আয়কর কর্তাদের। অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে ধর্মগুরু দলাই লামার (Dalai Lama) উপরও চরবৃত্তি করছিল লুও। জেরায় সে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছে। এমনকী দলাই লামা সম্পর্কে তথ্য জোগাড় থেকে লাখ লাখ টাকা সে দিয়েছে স্থানীয় তিব্বতিদের। ভুয়ো পাসপোর্ট, আধার, প্যান, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট – সব ছিল তার। ছ’টা বছর পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে কাটানোর পর অবশেষে গ্রেপ্তার হল।

জানা গিয়েছে, লুও স্যাং ওরফে চার্লি পেং ২০১৪ সালে নেপাল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ঢুকেছিল উত্তর-পূর্ব ভারতে। মিজোরামের এক তরুণীকে বিয়ে করে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করে। লুও স্যাং নাম নিয়ে ভারতীয় নাগরিকের ভুয়ো নথি তৈরি করে মণিপুর থেকে। এরপর তা নিয়ে দিল্লি চলে আসে। মজনু কা টিলা এলাকায় তিব্বতিতে সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি করে। এই এলাকা তিব্বতি অধ্যুষিত। ধর্মগুরু দলাই লামার বেশ কয়েকজন অনুগামীরও বাস। তাঁদের টাকা দিয়ে গোপনে দলাই লামা সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করছিল লুও। এসবই লুওকে দীর্ঘ জেরার পর আঁচ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের তাণ্ডবে উত্তপ্ত জম্মু, গোহত্যার অভিযোগে আক্রান্ত বাবা ও ছেলে]

শুধু চরবৃত্তিই নয়, লুও এখানে বসে রীতিমত অফিস চালাত। ভুয়ো পরিচয়পত্র দিয়ে অন্তত ৪০টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। হাজার কোটি টাকা লেনদেন হতো। পুলিশের চোখ এড়িয়ে দিব্যি সেসব টাকা নয়ছয়ের কাজ চলছিল তলে তলে। সম্প্রতি দিল্লির আয়কর দপ্তর বিভিন্ন জায়গায় আচমকা হানা দেয়। তাতেই ভেঙে খানখান হয়ে যায় লুওর সাম্রাজ্য। একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে সে। জেরার মুখে স্বীকার করে, ২০১৮ সালেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল। সেই মামলায় জামিনে মুক্ত সে। তথ্য আদানপ্রদান করা হতো চিনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘উই চ্যাট’-এর মাধ্যমে।

[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য সুরক্ষার বেনজির বন্দোবস্ত, সময় কমিয়ে শুরু হতে চলেছে সংসদের অধিবেশন]

আয়কর দপ্তরের কর্তাদের দৃঢ় ধারণা, একা লুওর পক্ষে এ কাজ সম্ভব নয়। তাই তার সঙ্গে জড়িতদের খোঁজ করা হচ্ছে। বিশেষত মজনু কা টিলায় তিব্বতি সন্ন্যাসীদের, যারা দলাই লামা সম্পর্কে গোপনে তাকে তথ্য সরবরাহ করেছিল। এছাড়া কর্তাদের নজরে রয়েছে দিল্লিরই এক চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। সবমিলিয়ে, আর্থিক কেলেঙ্কারি আর চরবৃত্তিতে ধৃত চিনা নাগরিকের ভূমিকায় রহস্য বেশ ঘনিয়ে উঠেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement