Advertisement
Advertisement
Tank

সীমান্তে মোতায়েন ভারতের ‘ভীষ্ম’, যুদ্ধে এক মুহূর্ত টিকতে পারবে না চিনা ট্যাংক!

হামলা চালাতে বিশাল ট্যাংক বাহিনী মোতায়েন করেছে হানাদার সেনা।

Chinese light tanks won't survive in battle with T-90s, say Indian tank commander | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 3, 2020 8:40 pm
  • Updated:October 3, 2020 8:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ সীমান্তে ওঁত পেতে রয়েছে চিনা বাহিনী (China)। ভারতের জমি দখল করার সুযোগ খুঁজছে লালফৌজ। হামলা চালাতে বিশাল বড় ট্যাংক বাহিনী মোতায়েন করেছে হানাদার সেনা। কিন্তু পালটা সীমান্তে অত্যন্ত শক্তিশালী টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংক মোতায়েন করে শত্রুর পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে ভারতীয় (India) সেনাবাহিনী।

[আরও পড়ুন: দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে জোর, মায়ানমার সফরে যাচ্ছেন ভারতের বিদেশসচিব ও সেনাপ্রধান]

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতীয় ফৌজের এক ট্যাংক কমান্ডারকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হলে ভারতের টি-৯০ ভীষ্ম ও টি-৭২ ট্যাংকের সামনে কিছুতেই দাঁড়াতে পারবে না চিনা ফৌজের টি-১৫ হালকা ট্যাংক। বহু দূরের নিশানায় আঘাত করা ও শত্রু ট্যাংকের বর্মভেদ করার ক্ষমতায় অনেকটাই এগিয়ে রুশ নির্মিত ভীষ্ম ট্যাংক। শুধু তাই নয়, মাইনাস ৪০ ডিগ্রি থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রায় স্বচ্ছন্দ্যে লড়াই করতে পারে টি-৯০ ও টি-৭২ ট্যাংক। এছাড়াও লাদাখ সীমান্তে বিএমপি সামরিক গাড়িও মোতায়েন করেছে ভারত। জানা গিয়েছে, লাদাখ সীমান্তে দৌলত বেগ ওলডি, দেপসাং সমতল ও প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ পারে বড় মাত্রায় টি-১৫ ট্যাংক মোতায়েন করেছে চিন। পালটা ভারতও বিশাল ট্যাংক বাহিনী প্রস্তুত রেখেছে।

Advertisement

বেশ কয়েকদিন ধরেই প্যাংগং হ্রদের (Pangong Tso) দক্ষিণ পাড়ে খুব অল্প দূরত্বে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ভারত ও চিনের ফৌজ। গত মার্চ মাস থেকেই প্যাংগং হ্রদের উত্তর পাড়ে আগ্রাসন চালিয়ে আসছিল চিনা বাহিনী (PLA)। ১৫ জুনের সংঘর্ষের পর দুই দেশের মধ্যে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। প্রতিবারই ভারতের সঙ্গে বেইমানি করেছে চিন। বৈঠকের টেবিলে একরকম কথা আর বাস্তবে অন্যরকম কাজ, এটাই নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে চিনা বাহিনীর। এর মধ্যে আবার গত ২৯ এবং ৩০ আগস্ট চিনারা ভারতীয় সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। যা ভারত প্রতিহত করেছে। কিন্তু তারপর থেকেই প্যাংগংয়ের দক্ষিণ প্রান্তে ক্রমাগত প্ররোচনামূলক পদক্ষেপ করে চলেছে চিনারা। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি না মেনে একেবারে ভারতীয় সেনার ঢিলছোঁড়া দুরত্বে সেনা মোতায়েন করেছে ড্রাগন। সুত্রের খবর, প্যাংগংয়ের দক্ষিণ উপকূলে গুরুং এবং মগর পাহাড়ের মাছে স্প্যাঙ্গুর গ্যাপে (Spanggur Gap) দুই দেশের সেনা শ্যুটিং রেঞ্জের মধ্যে চলে এসেছে। এবং চিনারা যেভাবে প্ররোচনা দিচ্ছে তাতে যে কোনও সময় সংঘর্ষের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

[আরও পড়ুন: নজরে চিন, এবার আণবিক ‘শৌর্য’ ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করল ভারত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement