Advertisement
Advertisement
রাফালে

রাফালের ধারেকাছে নেই চিনা যুদ্ধবিমান, মত প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান ধানোয়ার

চিনের তৈরি অত্যাধুনিক J-20 যুদ্ধবিমান রাফলের সামনে ফিকে।

Chinese jet no match for Rafale, says ex-IAF chief Dhanoa
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 29, 2020 5:34 pm
  • Updated:July 29, 2020 5:34 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। প্রায় ৭ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বুধবার ভারতে পদার্পণ করল রাফালে (Rafale) যুদ্ধবিমান। ফরাসি ফাইটার জেটটি হাতে আসতে কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনার শক্তি। এবার চিন ও পাকিস্তানকে একযোগে টক্কর দিতে প্রস্তুত দেশ। এই বিষয়ে প্রাক্তন বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়ার বক্তব্য, “শক্তি ও সমর্থ্যর দিক থেকে রাফালের ধারেকাছে নেই কোনও চিনা যুদ্ধবিমান।”

[আরও পড়ুন: রাফালের জন্য কেন বেছে নেওয়া হল আম্বালা এয়ারবেসকেই , জানেন?]

এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল ধানোয়া জানান, চিনের তৈরি অত্যাধুনিক পঞ্চম জেনারেশন J-20 যুদ্ধবিমান রাফালের সামনে ফিকে। পূর্ব লাদাখে চিন আগ্রাসন চালালে রাফালে যুদ্ধের পরিণতি নির্ণয় করে দিতে সক্ষম। ধানোয়ার দাবি, বিমানবাহিনী যদি প্রতিপক্ষের বায়ুর প্রতিরোধ ভেঙে দেয় তাহলে চিনা সেনা হোতান ও লাসায় থাকবে, ফলে তাদের সহজেই নিশানা করা যাবে। হোতানে ৭০টি ও লাসায় ২৬টি বিমান মোতায়েন করেছে লালফৌজ বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন এয়ার চিফ মার্শাল। তাঁর মতে, চিনের J-20 যুদ্ধবিমানগুলি আধুনিক। তবে রাফালে ও সুখোইয়ের মাধ্যমে ভারত খুব সহজেই তার মোকাবিলা করতে পারবে। ধানোয়ার প্রশ্ন, যদি চিনের যুদ্ধবিমান এতই ভাল হয়, তবে বালাকোটে পাকিস্তান মার্কিন F-16 বিমান ব্যবহার করল কেন, চিনা যন্ত্রের উপর আস্থা না রেখে সুইডেনের রাডার ও তুরস্কের টার্গেট পড ব্যবহার করে পাকিস্তান।

Advertisement

উল্লেখ্য, রাফালে বিমানগুলিতে রয়েছে ‘কোল্ড স্টার্ট’ প্রযুক্তি। অর্থাৎ লেহর মতো শীতল স্থানেও সেগুলির ইঞ্জিন কাজ করতে সক্ষম। উলটোদিকে পাহাড়ের উঁচু জায়গায় কাজ করতে অসুবিধা হয় চিনা বিমানগুলির। এছাড়া, রাফালেতে রয়েছে ‘মেটিওর’ এবং ‘স্কাল্প’ মিসাইল। হ্যামার মিসাইলও যুক্ত হবে বিমানটিতে। মেটিওর হল মার্কিন যুদ্ধবিমানে ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নততর সংস্করণ। স্কাল্প ক্ষেপণাস্ত্র ডগফাইটের সময় নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে পারে। মারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে রাফালেতে যোগ হচ্ছে হ্যামার মিসাইল। আণবিক অস্ত্র বহনেও সক্ষম রাফালে। প্রায় ১৫০ কিমি দূরে থাকা যে কোনও শত্রু যুদ্ধবিমানকে মুহূর্তে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এই মিসাইলগুলি। ভারত-চিন সংঘাতের পরিস্থিতিতে পুরোপুরি যুদ্ধের জন্যে প্রস্তুত করেই রাফালগুলি পাঠানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে এবার আরও ঘাতক হয়ে উঠেছে ভারতীয় বায়ুসেনা।

[আরও পড়ুন: সংবিধান থেকে ‘সমাজবাদ’ এবং ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ বাদ দেওয়ার দাবি, মামলা সুপ্রিম কোর্টে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement