Advertisement
Advertisement

Breaking News

China Army LAC

‘বাড়ছে লাল ফৌজের সক্রিয়তা’, চিন সীমান্ত নিয়ে সতর্ক ভারতীয় সেনাপ্রধান

চিন সীমান্তে বাড়তি সেনা মোতায়েন করার পথে ভারত।

Chinese Army activity increased at LAC, warns Army chief Manoj Pandey | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:January 12, 2023 8:06 pm
  • Updated:January 12, 2023 8:06 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাওয়াং সংঘর্ষের (Tawang Clash) স্মৃতি এখনও টাটকা। সেই আবহেই এবার চিন সীমান্তে সেনা বাড়ানোর কথা জানালেন ভারতীয় সেনাপ্রধান (Indian Army) মনোজ পাণ্ডে। বৃহস্পতিবার আর্মি ডে উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি। প্রসঙ্গত, যোশিমঠের (Joshimath) বিপর্যয়ের ফলে সেখান থেকে বেশ কয়েক ইউনিট সেনা সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছে ভারত। তার মধ্যেই চিন সীমান্তে বাড়তি সতর্কতায় চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। আরও জানা গিয়েছে, ভারতের পূর্ব ও উত্তরদিকে হঠাৎই চিন সেনার সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে।

সেনার অনুষ্ঠানে মনোজ বলেন, “আমাদের ইস্টার্ন কমান্ডের অন্তর্ভুক্ত এলাকার উল্টোদিকে চিনা সেনার সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছে। দেশের উত্তর-পূর্ব দিকে লালফৌজের সক্রিয়তার দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। তবে সীমান্তে পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। দু দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত বিবাদের অনেকটাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া গিয়েছে। তাও সেনাবাহিনীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিনা সীমান্তে কিছু পরিমাণ সেনা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: গত এক বছরে সর্বনিম্ন, খুচরো পণ্যের মৃল্যবৃদ্ধির হার কমে ৫.৭২ শতাংশ]

সেনাপ্রধানের কথাতেই পরিষ্কার, চিনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে নিজেদের তৈরি রাখতে চাইছে ভারত। কারণ সীমান্তে লালফৌজ কী ধরনের পরিবর্তন করতে চলেছে, তা চট করে নজরে পড়ে না। প্রসঙ্গত, তাওয়াং সংঘর্ষের পরে একাধিক উপগ্রহচিত্রে দেখা গিয়েছিল, ভারত সীমান্তে সেনা ও আধুনিক সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে চিন। সেই সময়েই বিশেষ সতর্কতা জারি করে বায়ুসেনা। সীমান্ত সংলগ্ন ঘাঁটিতে শক্তিশালী যুদ্ধবিমানগুলিও প্রস্তুত রাখা হয়। সীমান্তে মহড়াও শুরু করে বায়ুসেনা।

একই অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, যোশিমঠের বিপর্যয়ের কারণে সেখান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হবে। যোশিমঠের বিপর্যয়ে এখনও পর্যন্ত সেনাশিবিরগুলির ২০টি ভবনে ‘বিপজ্জনক ফাটল’ দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আইটিবিপির বেশ কিছু ঘরবাড়ি। জওয়ান এবং অফিসারদের জন্য বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তা ছাড়া এলএসি-মুখী বেশ কিছু সড়কে ফাটল ধরায় সেনা ও আইটিবিপির গতিবিধি শ্লথ হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দুর্গম সীমান্ত চৌকিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা কঠিন হচ্ছে। তবে এই পদক্ষেপের ফলে সীমান্তে নজরদারির গুরুত্ব কমবে না বলেই মত সেনাপ্রধানের।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ভয়াবহ তুষারধস, বরফ চাপা পড়ে মৃত শ্রমিক, নিখোঁজ বেশ কয়েকজন

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement