সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ ইস্যুতে ভারত ও চিনের আলোচনার ‘সুফল’ স্পষ্ট। গালওয়ান উপত্যকা এবং পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪, ১৫ ও হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরানোর পর এবার আকাশপথে কার্যকলাপ একপ্রকার বন্ধ করল চিনা বায়ুসেনাও (People’s Liberation Army Air Force)। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, গত প্রায় চারদিন ধরে সীমান্তের ওপারে চিনা বায়ুসেনার কার্যকলাপ নিয়মিত কমছে। গত মঙ্গলবার লাদাখ সীমান্তে চিনের আকাশে কোনও যুদ্ধবিমান ওড়েনি। বুধবারও একপ্রকার বন্ধই ছিল চিনা বায়ুসেনার কার্যকলাপ।
উল্লেখ্য, লাদাখে ভারত ও চিনের যুদ্ধের আবহ তৈরি হতেই প্যাংগং লেক থেকে ২০০ কিলোমিটার বিশ্বের উচ্চতম বিমানঘাঁটিগুলির মধ্যে অন্যতম গারি গুনশায় একপ্রকার রণসজ্জা শুরু করে দিয়েছিল চিন। সেখানে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে চিনা ফৌজ। লাইন অফ কন্ট্রোলের কাছে মোতায়েন বিমানগুলির মধ্যে অন্যতম হল J-11 এবং J-16 ফাইটার। সেখানে টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ক, z-20 হেলিকপ্টার ও GJ-2 ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। আসলে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায়, লাদাখ সীমান্তে নিজেদের বায়ুসেনাকেও প্রস্তুত রাখছিল চিন। ভারতের সীমান্তের কিছুটা দূরেই চলছিল বায়ুসেনার মহড়া। অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলি চিনের আকাশে ইচ্ছেমতো চক্কর কাটছিল। নিজেদের আকাশসীমা পেরিয়ে ভারতের আকাশসীমাতেও একাধিকবার ঢুকে যায় চিনের যুদ্ধবিমান। কিন্তু সেই ছবি পালটেছে।
৬ জুন দু’দেশের মধ্যে হওয়া মেজর জেনারেল স্তরের বৈঠকের পর গালওয়ান এলাকা, পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪, ১৫ ও হট স্প্রিং এলাকায় সংঘর্ষের কেন্দ্র থেকে আড়াই কিলোমিটার পিছিয়ে গিয়েছে চিনা সেনাবাহিনী। ওই সব এলাকা থেকে ফৌজ সরিয়েছে ভারতও। আরও সেনা সরানোর কাজ চলছে। ধীরে ধীরে লাদাখ সীমান্তে কমছে চিনা সেনার সংখ্যা। ফলে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। সরাসরি সংঘাতের রাস্তায় না হেঁটে কূটনৈতিক তথা সামরিক স্তরে আলোচনার মাধ্যমে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষে মত দিয়েছে নয়াদিল্লি ও বেজিং। সেদিনের বৈঠকের পর থেকেই আকাশপথে নিজেদের কার্যকলাপ কমিয়ে দিয়েছে চিন। সূত্রের খবর, গত মঙ্গলবার ভারত সীমান্তে চিনের একটি যুদ্ধবিমানও ওড়েনি। বুধবারও চিনা বায়ুসেনার কার্যকলাপ ছিল নগণ্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.