সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা আবহে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। চলতি বছরেই এইচডিএফসি লিমিটেডের (HDFC) বিপুল শেয়ার কিনেছে ‘পিপলস ব্যাংক অফ চায়না’। অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং ঋণদাতা এইচডিএফসি লিমিটেডের প্রায় ১.৭৫ কোটি শেয়ার নিজেদের পকেটস্থ করেছে চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এইচডিএফসি-র ১.০১ শতাংশ শেয়ার কিনেছে তারা। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রবিবার তিনি বলেন, “ব্যাপক আর্থিক মন্দার জেরে বহু ভারতীয় সংস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি বিদেশি লগ্নিকারীদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। কিন্তু বিদেশি সংস্থা যাতে এই জাতীয় সংকটের সুযোগে দেশি সংস্থাগুলোকে অধিগ্রহণ করতে না পারে, সরকার তা নিশ্চিত করুক।”
একই আশঙ্কা করছে স্পেন, ইটালি, জার্মানির মতো দেশও। ওই সমস্ত দেশেও দেখা দিচ্ছে মন্দা। ঋণের ভারে জর্জরিত বহু সংস্থা শেয়ার বিক্রির পথে হাঁটতে পারে। ইউরোপীয় কয়েকটি দেশ মনে করছে, চিন এই সুযোগ নিতে পারে। বকলমে সরকারি অর্থ লগ্নি করে ইউরোপীয় সংস্থাগুলির শেয়ার কিনে নিতে পারে চিনা সংস্থা। সে জন্য চিন সরকার সস্তায় মূলধনও জোগাচ্ছে। তাই প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের নিয়ম বদলে ফেলছে স্পেন, ইটালি, জার্মানির মতো বহু ইউরোপীয় দেশ। চিনের বেল্ট অ্যান্ড রোড করিডোর প্রকল্পে বহু এশীয় দেশ হাত পোড়ানোর পর শিক্ষা নিয়েছে তারা। কোনওভাবেই তারা চিনকে আধিপত্য বিস্তার করতে দেবে না।
তবে, এই প্রথম এইচডিএফসি-র অংশীদারিত্বে পিপলস ব্যাংক অফ চায়না ভাগ বসাল না। এর আগেও এইচডিএফসি-র ০.৮ শতাংশ অংশীদার ছিল পিপলস ব্যাংক অফ চায়না। এইচডিএফসি-তে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ৭০.৮৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তার মধ্যে সিঙ্গাপুর সরকারেরও ৩.২৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, এই বিপুল আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জানা গিয়েছে চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকের হিসাব প্রকাশ্যে আসার পর। যা রীতিমতো উদ্বেগজনক। এই শেয়ার কেনার সময়টি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ ওই শেয়ার কেনা হয়েছে গত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে মার্চ মাসের মধ্যে। সেই সময় থেকেই এইচডিএফসি লিমিটেডের শেয়ারের দাম প্রায় ৪১ শতাংশ কমে গিয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.