সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুটানকে ভারতের প্রভাবমুক্ত করতে মাঠে নেমেছে চিন (China)। ঋণের পসরা সাজিয়ে ও সীমান্ত বিবাদ উসকে থিম্পুকে নিজের দলে টানতে চাইছে বেজিং। এহেন সংকটকালে লালচিনের ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে মাঠে নেমেছে নয়াদিল্লি।
সূত্রের খবর, এবার ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যও বাড়িয়ে তুলতে একাধিক পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারত। গত সপ্তাহে পড়শি দেশটির সঙ্গে একটি নয়া বাণিজ্যও পথ খোলার পর এবার ভুটানের আবেদনে সাড়া দিয়ে দু’দেশের সীমান্তে আরও একটি স্থায়ী land customs station (LCS) খুলতে চলেছে ভারত। পাশাপাশি, দেশে ভুটানি পণ্যের আমদানির প্রক্রিয়া আর সহজ করতে পশ্চিমবঙ্গের আলিপুরদুয়ার জেলার জয়গাওঁয়ে আরও একটি integrated check post (ICP) খোলা হতে পারে। তবে সবথেকে বড় পদক্ষেপ হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মুজনাই থেকে ভুটানের ইওয়েনপালিঙ্গ পর্যন্ত রেলের মাধ্যমে ভুটান-ভারত সংযুক্তিকরণ নিয়ে সমীক্ষা চালাতে পারে নয়াদিল্লি ও থিম্পু।
বলে রাখা ভাল, ভারতের পড়শি দেশগুলির মধ্যে একমাত্র ভুটানই এখনও চিনের ‘বেল্ট এণ্ড রোড’ প্রকল্পে যোগ দেয়নি। বিগত কয়েক দশক থেকে চিনের চাপ অগ্রাহ্য করে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রেখেছে ভুটান। বিশেষ করে সে দেশের রাজ পরিবারের সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক খুবই ভাল। তাই সেই প্রভাব খর্ব করতে মাঠে নেমেছে চিন। ঋণের লোভ দিয়ে এবং সীমান্তে সংঘাত উসকে নানাভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতে থিম্পুর উপর জোর দিচ্ছে বেজিং।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্য (Sakteng wildlife sanctuary) নিজেদের বলে দাবি করছে চিন। নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের পর ভারতকে একা করতে চিনের লক্ষ্য ভুটান। লাদাখ ইস্যুতে সমাধান সূত্র না পেয়ে ভারতকে সকলের থেকে দূরে ঠেলে একঘরে করে রাখার মতলব এঁটেছে চিন। তাই একে একে সকল প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গেই ভারতের বিবাদ তৈরিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বেজিং (Beijing)। ফলে নেপালের পর এবার তাদের নজর পড়েছে ভুটানের সাকতেং অভয়ারণ্যের দিকে। যদিও সাকতেং অভয়ারণ্য নিয়ে চিনের সঙ্গে ভুটানের বিবাদ নতুন নয়। অনেকদিন ধরেই এই অভয়ারণ্য নিয়ে টানাপোড়েন চলছে দুই দেশের মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.