সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক পরমাণু ক্লাবে ভারতের প্রবেশ নিয়ে কট্টর বিরোধিতার পথ থেকে সরে এসে আলোচনার পথে হাঁটতে চাইল চিন। রবিবার চিনের তরফে জানানো হল, এনএসজি-র সদস্যসংখ্যা বাড়াতে গেলে সদস্য দেশগুলির একমত হওয়া জরুরি। আর সে জন্য দরকার এ ব্যাপারে আরও আলোচনা চালানো। চিনের নয়া অবস্থান যাচাই করে কূটনীতিবিদরা বলছেন, সিওলে ২০ জুনই এনএসজি-তে ভারতের প্রবেশ নিশ্চিত।
৪৮ সদস্যের পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী বা এনএসজি-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে চিনা বিদেশ মন্ত্রকের এই বক্তব্যেই স্পষ্ট, পাকিস্তানকে ঢাল করে যে ভারতকে রোখা যাবে না সেটা মোক্ষম বুঝতে পেরেছে বেজিং। নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকলেও এদিনের মন্তব্যে বেজিং সুর নরমের ইঙ্গিত দিল। অন্যদিকে, দায়িত্বশীল পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ভারত যাতে এনএসজি-তে প্রবেশাধিকার পায়, সে জন্য নয়াদিল্লির পাশে রয়েছে ওয়াশিংটন। এনএসজি-র সদস্য দেশগুলিকে এ ব্যাপারে অনেকটা নরমও করে ফেলেছে তারা।
চিন বরাবরই দাবি করে এসেছে, পরমাণু অস্ত্রপ্রসাররোধ চুক্তি বা এনপিটি সই না করে কোনও দেশ কীভাবে এনএসজি-তে প্রবেশাধিকার পেতে পারে, তা নিয়ে সদস্য দেশগুলির মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে। যদি এনপিটি স্বাক্ষর না করা দেশগুলি এনএসজি-তে ঢুকতে চায়, তবে এ নিয়ে বিশদে আলোচনা দরকার। একা চিন নয়, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রিয়াও এনপিটি সই না করা দেশের এনএসজি-তে প্রবেশের বিরোধী। কিন্তু অন্যান্য বিরোধী দেশগুলি গতকালই সুর নরম করার ইঙ্গিত দিয়েছে।
চিন কিন্তু এশিয়ায় তাদের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া ভারত নয়, বরং পাকিস্তানকে এনএসজি-তে দেখতে চায়। অথচ পাক বিজ্ঞানীরা যেভাবে ভারতকে পরমাণু বোমার জুজু দেখিয়ে ‘হুমকি’ দিচ্ছেন, তাতে পাকিস্তানের হাতে পরমাণু শক্তি কতটা নিরাপদ তা নিয়ে গোটা দুনিয়ারই সন্দেহ রয়েছে। সে দেশের বিজ্ঞানীরা বিদেশি শক্তিগুলির কাছে পরমাণু প্রযুক্তি ‘পাচার’ করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতের সদস্যপদ নিয়ে সিওলে ২০ তারিখ এনএসজি বৈঠকে সিদ্ধান্ত হতে পারে। ভারতকে এনএসজিতে প্রবেশাধিকার দিতে ওবামা প্রশাসন চেষ্টার ত্রুটি করছে না বলে মত আন্তর্জাতিক মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.