Advertisement
Advertisement

Breaking News

China

লাদাখ সীমান্তে তৈরি চিনের ২৫টি যুদ্ধবিমান, ফের হামলার প্রস্তুতিতে লালফৌজ!

অত্যাধুনিক জে-১১ ও জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে লালফৌজ।

China Keeps 25 Frontline Jets At Airfield Near Eastern Ladakh | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:June 11, 2022 9:15 am
  • Updated:June 11, 2022 9:15 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সামরিক তোড়জোড় নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সীমান্তে। লাদাখে যে মাত্রায় যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করেছে লালফৌজ, তা নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সম্প্রতি নয়াদিল্লিতে এসে এমনটাই বলেছেন মার্কিন সেনার প্যাসিফিক কমান্ডের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন। মার্কিন কমান্ডারের সতর্কবার্তার রেশ না কাটতেই জানা গিয়েছে পূর্ব লাদাখে ভারত সীমান্তের কাছে ২৫টি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান তৈরি রেখেছে চিন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখে (Eastern Ladakh) সীমান্তের ওপারে চিনের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটিতে তৎপরতা নজরে এসেছে। সেখানে ২৫টি অত্যাধুনিক জে-১১ ও জে-২০ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছে লালফৌজ। আগে ওই এয়ারবেসে মিগ-২১-এর মতো বিমান রাখত চিন। কিন্তু এবার আধুনিক ও জটিল যুদ্ধে সক্ষম জে-১১ এর মতো বিমান মোতায়েন চিন্তার বিষয়। বলে রাখা ভাল, গালওয়ান সংঘর্ষের (Galwan) পরও আগ্রাসী পদক্ষেপ থামায়নি চিন। ২০২১ সালে পূর্ব লাদাখের কাছে শিনজিয়াং প্রদেশের হোটান বিমানঘাঁটি থেকে আকাশে পাড়ি দেয় লালফৌজের ‘H-20’ বোমারু বিমান। এই স্টেলথ বিমানটি ট্রায়ালের অন্তিম পর্যায়ে রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চিনা সেনাবাহিনীতে শামিল হয়ে যাবে এই যুদ্ধবিমানটি। মূলত, ভারতের অত্যাধুনিক রাফালে ফাইটার জেটগুলির মোকাবিলায় এই নয়া যুদ্ধবিমান মোতায়েন করতে চলেছে বেজিং।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের হয়ে লড়াই, ২ ব্রিটিশ যোদ্ধা-সহ তিনজনকে মৃত্যদণ্ড, প্রতিবাদে সরব পশ্চিমী দুনিয়া]

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, কারাকোরাম পাসের উত্তর-পূর্বে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে চিনের হোটান বায়ুসেনা ঘাঁটি। লাদাখের প্যাংগং হ্রদের ৪ নম্বর ফিঙ্গার এলাকা থেকে ওই বিমানঘাঁটির দূরত্ব মাত্র ৩৮০ কিলোমিটার। ফলে রাডারে প্রায় অদৃশ্য ‘H-20’ বোমারু বিমানের মহড়ায় রীতিমতো উদ্বেগ ছড়ায় ভারতের প্রতিরক্ষা মহলে। এহেন পরিস্থিতিতে আরও ২৫টি যুদ্ধবিমান মোতায়েন করার খবর যে ভাল ইঙ্গিত নয় তা বলাই বাহুল্য।

উল্লেখ্য, লাদাখে সীমান্ত বিবাদ নিয়ে দুই দেশের মধ্যে প্রায় তেরো দফা আলোচনা হওয়ায় পর প্রশ্ন হচ্ছে, লাদাখ সীমান্তে কি শান্তি ফিরবে? বিশ্লেষকদের মতে, কূটনৈতিক আলোচনায় সেনা প্রত্যাহারে মৌখিকভাবে চিন রাজি হলেও বাস্তবে তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি লালফৌজ। বরং আকসাই চিন থেকে শুরু করে সিকিম ও অরুণাচল প্রদেশের কামেং সেক্টরে দ্রুত সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে তারা। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভারতও ফৌজ সরাচ্ছে না। এহেন পরিস্থিতিতে কূটনীতিবিদের আলোচনায় যে শীঘ্রই দুই দেশের মধ্যে চলা সীমান্ত সংঘাত মিটে যাবে, তেমন আশা করার কোনও জোরাল কারণ বা যুক্তি নেই।

[আরও পড়ুন: কলম ছেড়ে ধরেছিল বন্দুক, আদালতে দোষী সাব্যস্ত আইএস জঙ্গি সেই মার্কিন শিক্ষিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement