সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা রাখছে না চিন। পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার (LAC) কাছে ঠায় অবস্থানে রয়েছে লালফৌজ। সেনা সরানোর কোনও নামই নেই চিনের। সেনা সরানোর বিষয়ে তারা কি আদৌ আন্তরিক, নাকি অন্য কোনও মতলব রয়েছে ড্রাগনের তা নিয়ে ধন্দে নয়াদিল্লি। প্যাংগং হ্রদ এলাকার নয়া উপগ্রহ চিত্র প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে চিন অভিসন্ধি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার ৪ এলাকায় অন্তত ১৪টি অত্যাধুনিক কামান বসিয়েছে লালফৌজ। যা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। এর মানে দাঁড়াচ্ছে, লাদাখ থেকে সেনা না সরিয়ে কথার খেলাপ করেছে চিন।
জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় তৈরি করা হয়েছে একটি স্থায়ী নির্মাণ। সেটাকে একটি ফিল্ড হাসপাতাল বলা হচ্ছে। কিন্তু সেটা নিয়েও সন্দিহান প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। গত প্রায় আড়াই মাস ধরে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে ভারত-চিন দুই দেশের সংঘাত চলার পর জুলাই মাসে গালওয়ান, গোগরা ও হট স্প্রিং এলাকা থেকে কিছুটা পিছু হটেছে লালফৌজ। তবে ফিঙ্গার ৪ এলাকায় এখনও জবরদখল করে রয়েছে চিনা সেনা। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতীয় সেনা আধিকারিকরা। গুরুত্ব সহকারে বিষয়টি দেখছে নয়াদিল্লিও। কোনওরকম সন্দেহজনক কিছু হলেই প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বাহিনী।
সম্প্রতি, গালওয়ান উপত্যকায় লালফৌজের সঙ্গে রক্তাক্ত সংঘর্ষের পর থেকে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ভারত। তাই শান্তি আলোচনা চললেও লড়াইয়ের জন্য সেনাবাহিনীকে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৯৬২ সালের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তাই দ্রুত সেনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করছে নয়াদিল্লি। তার মধ্যে অন্যতম হল, লাদাখে পাহাড়ি এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছে ‘ভারত’ ড্রোন এবং ৬টি সাবমেরিন বিধ্বংসী Poseidon-8I যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে নয়াদিল্লি। গ্রিক পুরাণের মতে এই পোসাইডন হলেন সমুদ্র ও ঝড়ের দেবতা। সমুদ্রের ‘শিকারি’ হিসেবে পরিচিত এই বিমানগুলির জুড়ি মেলা ভার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.