সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের চিনা (China) আগ্রাসনের রক্তচক্ষু! এবার লালফৌজের নজরে উত্তরাখণ্ড। গত কয়েক দিন ধরেই দেবভূমের বারাহোতি সীমান্তে বেড়েছে চিনা সেনার তৎপরতা। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সজাগ ভারতীয় সেনাও। নজর রাখছে গোটা পরিস্থিতির উপর।
বারাহোতি এলাকায় একাধিকবার চিনা আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। এই এলাকাকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে থাকে বেজিং। তাঁদের দাবি বারবারই উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। স্থানীয় সূত্রে খবর, গত ছ’মাস চুপচাপই ছিল চিনা বাহিনী। তাদের কোনও টহলদারি বা সামরিক তৎপরতা চোখে পড়েনি। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সেই পরিস্থিতি আচমকাই বদলে যায়। গত কয়েক দিনে বারাহোতি এলাকার লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল এলাকায় টহল দিয়েছেন পিপলস লিবারেশন আর্মি বা চিনা বাহিনীর কমপক্ষে ৪০টি দল। সেদিকে নজর রেখে সজাগ ভারতীয় সেনাও। এমনই খবর মিলেছে সেনা সূত্রে।
শুধু টহলদারি নয়, উত্তরাখণ্ডের কাছে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে চিনা সেনার তৎপরতা চোখে পড়েছে। ঘনঘন ওঠানামা করছে লালফৌজের হেলিকপ্টার। উড়ছে ড্রোনও। যা দেখে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, নতুন করে কোনও ষড়যন্ত্রের ফন্দি আঁটছে চিন। তবে আগেভাগেই সতর্ক হয়ে গিয়েছে ভারতীয় সেনাও। উল্লেখ্য, লাদাখে চিনা আগ্রাসন চলাকালীনই অরুণাচল, উত্তরাখণ্ডে চিনা সীমান্তে সেনা তৎপরতা বাড়িয়েছিল ভারত। মজুত করেছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, চিন্ আগ্রাসনের জবাব দিতে তৈরি ভারতীয় সেনা।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের জুলাই মাসেও ম্যাকমোহন লাইনকে অস্বীকার করেছিল চিন। উত্তরাখণ্ডের বারাহোতি তাদের নিশানা ছিল। ২০ জুলাই থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত চার বার চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল বলে অভিযোগ। চামোলি জেলার বারাহোতিতে প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত চিনা সেনা অনুপ্রবেশ করে। ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ বা আইটিবিপিকে নিয়ে ওই এলাকায় সমীক্ষার জন্য গিয়েছিলেন চামোলির জেলাশাসক। তখনই তারা চিনা সেনার দৌরাত্ম্য আঁচ পান। সূত্রের খবর, প্রায় দু’ঘণ্টা ভারতের মাটিতে ছিল বিদেশি সেনা। এর আগে গত ১৯ জুলাই উত্তরাখণ্ডের আকাশে ঢুকে পড়েছিল চিনা সেনাবাহিনীর একটি চপার। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছিল। তার মধ্যে চিনের এই দাদাগিরিতে বিরক্ত ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.