ঠিক কী করেছে চিন?
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পালটে দিয়েছে চিন। এখনই পদক্ষেপ না করলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।’ উদ্বেগ ছড়িয়ে এমনটাই দাবি করলেন অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। এই বিষয়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির প্রাণ ব্রহ্মপুত্র নদ। বিশেষ করে কৃষিনির্ভর অসম সেচের জন্য ওই নদের জলের উপর নির্ভরশীল। ফলে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও দাপুটে কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে গগৈ জানান, “ব্রহ্মপুত্রের বুকে বিশাল বাঁধ বানিয়েছে চিন। তার মাধ্যমে জলের গতিপথ পালটে দিয়েছে তারা। এর ফলে অসম-সহ একাধিক রাজ্যে প্রবল জলসংকট দেখা দেবে। এই বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিন প্রধানমন্ত্রী, না হলে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের দিকেই এগোবে।”
China has already been diverting Brahmaputra water with a dam which will create water shortage for us. The artificial rainwater harvesting plan of them will create even more danger. PM should take it seriously or our future will be in dark: Tarun Gogoi, Former #Assam CM pic.twitter.com/llQuwUOdY8
— ANI (@ANI) March 28, 2018
চিনে ব্রহ্মপুত্রের নাম সাংপো। ওই নদের উৎস তিব্বতে। সেখান থেকে নিম্নমুখী হয়ে ভারত ও বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে ব্রহ্মপুত্র। ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য, বিশেষ করে অসমের জীবনরেখা ওই নদ। এর জন্যই বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কৃষিকার্য সম্ভব হয়। তবে মাঝে মাঝে অতিবৃষ্টির জন্য দুকূল ছাপিয়ে জনজীবন বিধ্বস্ত করে ব্রহ্মপুত্র।
তিব্বত থেকে ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলে ফেলার ভয়ানক ছক কষছে চিন। এই কাজের জন্য প্রায় ১ হাজার কিলোমিটারের একটি টানেল তৈরি করতে চলেছে বেজিং। ওই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে তিব্বত থেকেই ব্রহ্মপুত্রের গতিপথ বদলে ওই নদকে জিনজিয়াং প্রদেশের দিকে প্রবাহিত করবে লাল চিন। এমনটাই খবর ছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। তবে বিষয়টি অজ্ঞাত কারণে ধামাচাপা পড়ে যায়। এবার গগৈর মন্তব্যে ফের শুরু হয়েছে জল্পনা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চিন ওই টানেল বানালে প্রবল বিপাকে পড়বে ভারত ও বাংলাদেশ। তিব্বত থেকে শুষ্ক জিনজিয়াং প্রদেশে জল প্রবাহিত করলে কমে যাবে ব্রহ্মপুত্রের জলস্তর। ফলে বিঘ্নিত হবে প্রবাহ। যার জেরে ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। জল কমে যাওয়ায় কৃষিকার্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। শুধু তাই নয়, সুড়ঙ্গ থেকে জল ছাড়লে প্লাবিত হতে পারে নিচু জায়গাগুলি। একই অবস্থা হবে বাংলাদশেও। ফলে চিনের এই চালে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দিল্লির দরবারে।
[রানিগঞ্জের ঘটনায় রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.