Advertisement
Advertisement

উত্তর কোরিয়া সীমান্তে দেড় লক্ষ সেনা পাঠিয়ে যুদ্ধের হুঙ্কার চিনের

আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্তর কোরিয়ার একমাত্র বন্ধু চিন।

China deploys 1,50,000 troops near North Korea's border
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 14, 2017 9:54 am
  • Updated:October 9, 2019 6:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিরোশিমা-নাগাসাকির ভয়াল স্মৃতি আজও কাঁপিয়ে তোলে মানবজাতিকে। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েক দশক। ধংসের দৌড়ে প্রচন্ড গতিতে এগিয়ে গিয়েছে সভ্যতা। আমেরিকা, রাশিয়া ও চিন-সহ বেশ কয়েকটি দেশের হাতে আজ রয়েছে শ’য়ে শ’য়ে পারমাণবিক বোমা। এমন পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়া নিয়ে চিন-আমেরিকা সংঘাতের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠছে। চিনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত এক খবরে জানা গিয়েছে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পরই উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে প্রায় দেড় লক্ষ সৈন্য মোতায়েন করেছে বেজিং।

[প্রাক্তন সেনা অফিসারকে অপহরণ করছে ভারত, অভিযোগে সরব পাকিস্তান]

Advertisement

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু আস্ফালনের জবাবে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছিলে ট্রাম্প। এর জবাবে শুক্রবার চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, “উত্তর কোরিয়া নিয়ে পরিস্থিতি বিস্ফোরক হয়ে রয়েছে। যেকোনও মুহুর্তে যুদ্ধ শুরু হতে পারে। তবে এই যুদ্ধে কেউ জয়ী হবে না। এই যুদ্ধ হলে সবাই ধ্বংসের মুখে পড়বে।” উল্লেখ্য, হোয়াইট হাউসের এক বিদেশনীতি উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে পিয়ংইয়ং-এর বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে আমেরিকা। যদি কিম পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেন তবে যে কোনও মুহূর্তে হামলা চালাবে আমেরিকা বলেও জানিয়েচেন ওই আধিকারিক। ইতিমধ্যে, কোরিয় উপসাগরে অত্যাধুনিক বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস কার্ল ভিনসন’, সাবমেরিন ও গাইডেড মিসাইল ক্রুজার পাঠিয়েছে মার্কিন নৌসেনা। এর বিরুদ্ধে প্রবল প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

[ভিন গ্রহে থাকতে পারে প্রাণ, যুগান্তকারী ঘোষণা NASA-র]

আন্তর্জাতিক মঞ্চে উত্তর কোরিয়ার একমাত্র বন্ধু চিন। যদিও উত্তর কোরিয়া নিয়ে চিন-আমেরিকায় যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে মনে করা হচ্ছে তবুও একাংশ সামরিক বিশেষজ্ঞের মত কিমকে পরমাণু পরীক্ষা থেকে বিরত রাখবে চিন। কারণ বেজিং চায় না আমেরিকার রোষে পরে বন্ধু কিমের সাম্রাজ্য ধংস হয়ে যাক। এছাড়াও কোরিয় উপদ্বীপে মার্কিন ও ইউরোপীয় প্রভাব রুখতে কিমের গদিতে থাকা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করে বেজিং। প্রসঙ্গত, ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত পাঁচবার পরমাণু পরীক্ষা করেছে পিয়ংইয়ং৷ গত এক বছর ধরে সব দেশের চোখ রাঙানিকে উড়িয়ে দিয়ে একতরফা ভাবে পরপর পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছেন স্বৈরাচারী কিম৷ মহাশক্তিধর প্রতিবেশী চিনও সংযত করতে পারেনি তাঁকে৷

[মার্কিন সেনাই সর্বশক্তিমান, আফগানিস্তানে ‘মাদার অফ অল বম্বস’ ফেলে হুঙ্কার ট্রাম্পের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement