সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছয়ের দশক থেকেই সীমান্তে জমি মাফিয়ার মতো আচরণ করছে চিন। নেহেরুর ‘হিন্দি-চিনি ভাই ভাই’ থেকে মমল্লপুরমের সমুদ্র সৈকতে মোদি-জিনপিং আলাপচারিতা, কিছুতেই কাটেনি জট। ‘দুই পা এগিয়ে এক পা পিছনোর’ নীতিতে অটল থেকেছে বেজিং। কমিউনিস্ট দেশটির উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে সম্প্রতি এক রিপোর্টে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, লাদাখে প্রায় ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে চিন।
সর্বভারতীয় সংবাদপত্র ‘The Hindu’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কেন্দ্রের কাছে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন গোয়েন্দারা। সেখানে বলা হয়েছে, লাদাখ সীমান্তে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর লাগাতার আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে চিন। এপর্যন্ত প্রায় ১ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করে ফেলেছে কমিউনিস্ট দেশটি। গত এপ্রিল মাস থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সৈন্য ও হাতিয়ার মজুত করা শুরু করেছে লালফৌজ। বিশেষ করে, দেপসাং প্লেন অঞ্চলে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১০ থেকে ১৩ পর্যন্ত প্রায় ৯০০ বর্গ কিলোমিটার দখল করেছে চিন। গালওয়ান উপত্যকায় ১২ ও হট স্প্রিং এলাকায় ১২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করেছে চিনা বাহিনী। শুধু তাই নয়, প্যাংগং লেক বরাবর ফিঙ্গার ১ থেকে ফিঙ্গার ৮ পর্যন্ত বরাবর টহল দিয়ে এসেছে ভারতীয় ফৌজ। তবে চিনের দাবি, ফিঙ্গার ৮ থেকে ফিঙ্গার ৪ পর্যন্ত তাদের এলাকা। ফলে সংঘাত বাড়ছে দুই বাহিনীর মধ্যে। গত মে মাসে ওই এলাকায় আচমকাই ভারতীয় জওয়ানদের উপর লাঠি ও পাথর নিয়ে হামলা চালিয়েছিল চিনা বাহিনী। সেনা সূত্রে খবর, ওই ঘটনার পর থেকেই প্রচুর সেনা মোতায়েন করেছে লালফৌজ। শুধু তাই নয়, ফিঙ্গার ৪ থেকে আর ভারতীয় জওয়ানদের টহল দিতে দিচ্ছে না চিনারা। বর্তমানে ওই ফিঙ্গার ৪-ই কার্যত সীমান্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে গত ২৯ আগস্ট ও ৩০ আগস্ট রাতে প্যাংগং লেকের (Pangong Tso lake) দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে ভারতের জমিতে ঢোকার চেষ্টা করে লালফৌজ। ফলে ওই এলাকার পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এদিকে, সংঘাত থামাতে ওই ঘটনার পর চুশুল বর্ডার মিটিং পয়েন্টে ব্রিগেড কম্যান্ডার স্তরে বৈঠক হয় দু’দেশের মধ্যে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.