সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ কেউ হতেন রাজা। তো কাল সেই আবার মন্ত্রী। একে অপরকে ধরে ফেলার লড়াই!
শৈশবের সেই রাজা-মন্ত্রী খেলাই সুড়ঙ্গ-জীবনের অক্সিজেন হয়ে উঠেছিল ৪১টা শ্রমিকের কাছে।
‘সঙ্গী’ মোবাইলও তখন পুরোপুরি আন্তর্জাল ছিন্ন। সুস্থ জগৎ থেকে মাত্র ৬০ মিটার দূরে থেকেও তাঁরা তখন ভিন্ন গ্রহের। তাই সময় কাটানোর জন্য উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গে বন্দি শ্রমিকরা হাতিয়ার করেছিলেন ছোট্টবেলার সেই খেলাকেই। রাজা-মন্ত্রী-চোর-সিপাহি-এর মতো খেলাই ছিল একমাত্র অবলম্বন।
[আরও পড়ুন: ২০২৮ সালে ভারতে ‘কপ ৩৩’! কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার প্রস্তাব মোদির]
উত্তরপ্রদেশের মতিপুরের অঙ্কিতের কথায়, সুড়ঙ্গের ভিতরে ততটা ঠান্ডা ছিল না। সাক্ষাৎ মৃত্যুকে সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করেছি আমরা। পরিবারের কথা ভেবে খুব চিন্তা হচ্ছিল প্রত্যেকের। আমাদের কিছুই করার ছিল না। ভালো থাকতে, নিজেদের সুস্থ রাখতে সুড়ঙ্গ-জীবনকেই ‘বাস্তব’ বলে মেনে নিয়েছিলাম। যতটা সম্ভব মজা-আনন্দ-খেলা করে সে সময় দিনগুলো কাটানোর চেষ্টা করেছি।
প্রসঙ্গত, শুক্রবারই বিহারের পাঁচ এবং ঝাড়খণ্ডের ১৫ জন শ্রমিক বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। বাড়ি ফিরেছেন বাংলার এক শ্রমিকও। মানিক তালুকদার এবং তাঁর দুই আত্মীয় বিমানে বৃহস্পতিবার রাতে দিল্লিতে পৌঁছেছিলেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিও। রাতে তাঁরা বঙ্গভবনে ছিলেন। শুক্রবার সকালে প্রাতরাশের পর বাগডোগরার উদ্দেশে রওনা হন। তবে, মানিক ফিরলেও বাংলার আরও দুই শ্রমিক এখনই বাড়ি ফিরছেন না। এঁরা হলেন হুগলির সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব প্রামাণিক। তাঁদের কিছু ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান রয়েছে। সে সব মিটিয়ে দিনকয়েক পর তাঁরা হুগলির বাড়িতে ফিরবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.