সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমাজের সার্বিক উন্নতির জন্য মহিলাদের লেখাপড়ায় আরও জোর দেওয়া প্রয়োজন। এমনটাই মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। ভারতবর্ষে মহিলা বিচারপতির সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে সেই প্রসঙ্গেই এ কথা উঠে আসে প্রধান বিচারপতির মুখে।
সমাজের প্রতিটি স্তরে, প্রতিটি পেশায় কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে পুরুষদের সঙ্গে এগিয়ে চলেছেন মহিলারাও। আইনি পেশাতেও উন্নতিসাধনের চেষ্টা করে চলেছেন তাঁরা। কিন্তু এই সংখ্যা কীভাবে বাড়বে? তার জন্য কী করণীয়? বিচারপতি চন্দ্রচূড় (CJI DY Chandrachur) নিজেই জানান, একাধিকবার তাঁকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। যার উত্তরে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট, হাই কোর্টে কেন মহিলা বিচারপতির সংখ্যা কম, এই প্রশ্ন বারবারই শুনতে হয় আমায়। তবে উত্তরটা খুব একটা সহজ নয়। আমি চাই সত্যিটাই সামনে আসুক।” তাঁর ব্যাখ্যা, আজ থেকে দুই দশক আগেও পেশা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বৈষম্য লক্ষ্য করা যেত।
২০২৩ সালে হাই কোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) বিচারপতিরা যতটা তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন, একবিংশ শতাব্দীর গোড়ায় বিষয়টা ততটা সহজ ছিল না। ২০০০ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে আইনি পেশায় যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে এই ছবি অনেকটা বদলেছে। তাই হঠাৎ করে ছড়ি ঘোরালেই কোনও মহিলা সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হতে পারবেন না। এর জন্য তৃণমূল স্তর থেকে সঠিক ভাবে পরিকল্পনার প্রয়োজন। মহিলাদের শিক্ষার উপর আরও জোর দিতে হবে বলেই মনে করছেন তিনি।
তবে ভাল বিষয় হল, দেশের বহু রাজ্যে জেলা দায়রা আদালতে মহিলাদের যোগ দেওয়ার হার ৫০ শতাংশেরও বেশি বলেই জানান তিনি। যা সম্ভব হয়েছে দেশে মহিলাদের শিক্ষার অগ্রগতির জন্যই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.