Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rajiv Kumar

কবে মহারাষ্ট্রের নির্বাচন? ইঙ্গিত দিল নির্বাচন কমিশন

অক্টোবরে হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটপর্ব শেষ হলেই জনসংখ্যার নিরিখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে কমিশন।

Chief Election Commissioner Rajiv Kumar confirms Maharashtra Assembly polls before November 26

ফাইল ছবি।

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:September 29, 2024 1:41 am
  • Updated:September 29, 2024 7:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঁচ বছর আগে হরিয়ানার সঙ্গে একই দিনে মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন হলেও এবার তার ব্যতিক্রম মারাঠাভূমে। হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেলেও মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি। জানা গিয়েছে, আগামী ২৬ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই সেখানে বিধানসভা নির্বাচন হতে পারে।

কিন্তু রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিরোধী জোটের কাছে বিজেপি, শিণ্ডে সেনা, অজিতপন্থী এনসিপির জোট বিরাট ধাক্কা খাওয়ার জেরেই হরিয়ানা এবং জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোট হচ্ছে না। কিন্তু আরব সাগরের তীরের এই রাজ্যে ভোট দ্রুত করতে চায় কমিশন। তাই উৎসবের মরশুম শেষ হলেই ভোট হতে পারে মারাঠাভূমে। রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার, দুই নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং সুখবীর সিং সান্ধুকে সঙ্গে নিয়ে তিন দিনের মহারাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন। এই সফরের শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আলোচনা করেছেন মহারাষ্ট্রের পুলিশ এবং প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গেও।

Advertisement

কমিশনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী ২৬ নভেম্বর মহারাষ্ট্র বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, উৎসবের মরশুম শেষ হলেই বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মহারাষ্ট্রে। সে ক্ষেত্রে অক্টোবরে হরিয়ানা এবং জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটপর্ব শেষ হলেই জনসংখ্যার নিরিখে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্যে নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে কমিশন। মহারাষ্ট্র পুলিশের ডিজি রোশনী শুক্লা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন, এক দফাতে নির্বাচন হলে তারা প্রস্তুত আছেন। তবে মহারাষ্ট্র প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনারকে অনুরোধ করা হয়েছে নির্বাচনের দিন সপ্তাহের মধ্যভাগে রাখতে। ছুটির দিন বা সপ্তাহের শেষ দিকে নির্বাচন না করার জন্য। কারণ ছুটির দিন বা সপ্তাহের শেষ দিকে নির্বাচন হলে ভোটার সংখ্যা কমে যায়।

কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে উৎসবের মরশুম শেষ হবার পরই ভোট করার জন্য। রাজনৈতিক দলগুলি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই রাজ্যে ভোটদানের হার কমে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ, ২০১৯ সালের বিধানসভা ভোটে ৫৫.৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে, সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ৫২.৪%। এই পরিস্থিতিতে ভোটারদের বুথমুখী করাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হবে নির্বাচন কমিশনের কাছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement