সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার আতঙ্কে কাঁটা এখন ভারতীয়রাও। এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে বারংবার, তবে সেই প্রচারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে নানা গুজব। তবে করোনা আতঙ্কের জেরে সরাসরি কোপ পড়েছে মুরগির মাংস ও ডিম বিক্রিতে। বিক্রি কমে গিয়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।
এপর্যন্ত ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭। আজ নতুন করে চারজনের দেহে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তার মধ্যে দু’জন মহারাষ্ট্র, তিনজন কর্ণাটক ও আর একজন পাঞ্জাবের বাসিন্দা। কেরলে আরও ছ’জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সূত্রে খবর, আইসোলেশনে রেখে তাঁদের প্রত্যেকের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। তবে করোনা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারের সঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে গুজব। কেউ বলছে চিকেন খেলেই ছড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ, কেউ বা করোনার হাত থেকে বাঁচতে পুরোপুরি নিরামিশাষী হয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার হাত ধরে ছড়িয়ে যাচ্ছে বেশ কিছু ফেক ভিডিও। আর তা দেখেই আরও আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মনে।
গত সপ্তাহেই উত্তরপ্রদেশের লখনউ ও মুজফফরনগরের জেলাশাসক খোলা দোকানে মাংস বিক্রি করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ইতিমধ্যেই নোটিস টাঙিয়েছে দোকানে, তাতে লেখা ‘আমিষ খাবার চাইবেন না।’ খোলা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সার্বিকভাবে মুরগির মাংস বিক্রির চাহিদা প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। কোথাও আবার ব্রয়লার মুরগির বিক্রি কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। পঞ্জাবের একটি বেসরকারি খাদ্যসংস্থার আধিকারিক রাজীব জয় সিংঘানিয়া জানান, বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিকের দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ভুল প্রচারের জেরেই কোপ পড়ছে মুরগির মাংস বিক্রিতে।অন্যদিকে করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়ার পর থেকেই কেরালায় মুরগির মাংস বিকোচ্ছে ৫৫ টাকা প্রতি কিলোয়। দিল্লিতে মুরগির মাংস বিক্রির হার কমেছে ৪৫ শতাংশ। ফলে মার খাচ্ছে পোলট্রির ব্যবসাগুলি।
কয়েকজন ক্রেতাকে জিজ্ঞাসা করলে জানা যায়, কীসের থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে তা জানেন না তারা। তবে করোনা ভাইরাসের ভয়ে তারা মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ করেছেন। খুব কমই খাচ্ছেন পাঠার মাংস। আগাম সতর্কতা বজায় রাখতেই তারা নিরামিষ খেতে বাধ্য হচ্ছেন। পশুপালন কমিশনের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়, পোলট্রি মুরগির শরীরে কোনওরকম ভাইরাসের (COVID-19) নমুনা পাওয়া যায়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.