Advertisement
Advertisement
Chhattisgarh

চাকরি, আর্থিক পুরস্কার, আইনি সুরক্ষা, মাওবাদ নির্মূলে নয়া আত্মসমর্পণ নীতি ছত্তিশগড়ে

মাওবাদীদের ধরিয়ে দিলে মিলবে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার।

Chhattisgarh’s new Maoist rehabilitation policy
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:March 23, 2025 7:57 pm
  • Updated:March 23, 2025 8:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি সপ্তাহের শুরুতে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন মাওবাদী। এবার বন্দুকের ভাষার সমান্তরাল বন্ধুত্বের বার্তা দিল ছত্তিশগড় সরকার। ‘নকশাল আত্মসমর্পণ এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’-এ বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সায় ঘোষণা করেছেন, নতুন প্রকল্পে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক পুরস্কার এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হবে।

মাওবাদী নেতাদের পদ অনুযায়ী সুবিধা প্রদান করা হবে নয়া পুনর্বাসন নীতিতে। রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। যাঁরা লাইট মেশিনগান-সহ আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁরাও পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার। যে সব ক্ষেত্রে মাওবাদী ইউনিটের ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করবেন, সেখানে দ্বিগুণ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুনর্বাসনের এই প্যাকেজে রয়েছে চাকরি এবং সন্তানদের শিক্ষায় সাহায্যও।

Advertisement

অন্যদিকে মাওবাদীদের ধরিয়ে দিলে মিলবে ১০ লক্ষ পুরস্কার। মাওবাদীদের হামলায় নিহতদের পরিবারকে ১৫-২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি নিরাপত্তাকর্মীদের জন্যও পুরস্কার হিসেবে নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা কিংবা সংশ্লিষ্ট মাওবাদীর মাথার দামের ১০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পুনর্বাসন নীতিতে প্রস্তাব করা হয়েছে, আত্মসমর্পণের পর মাওবাদীদের উপর নজর রাখবে একটি বিশেষ কমিটি। যদি ছয় মাস তাঁদের আচরণে কোনও সন্দেহজনক কিছু না মেলে, তা হলে সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়টিও বিবেচনা করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদ নির্মূল করার শপথ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই সূত্রেই কড়া হাতে মাওবাদী দমনে নেমেছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। ছত্তিশগড়ের জঙ্গলে নিয়মিত গুলির লড়াই লেগেই রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিজাপুর ও কাঁকের জেলায় দুটি আলাদা অভিযানে নিহত হয়েছেন ৩০ জন মাওবাদী। তার আগে ১৬ জানুয়ারি ১২ মাওবাদী নিকেশ হয় যৌথ বাহিনীর অভিযানে। ওই মাসেই আরও এক অভিযানে খতম হন ২০ জন মাওবাদী। এরপর গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিজাপুরে সিআরপিএফ এবং ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৩১ জন মাওবাদী গেরিলা নিহত হয়েছিলেন। অন্যদিকে বছরের শুরু থেকেই ছত্তিশগড়ের একাধিক জায়গায় মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটছে। বিজাপুরের কুটরু রোডে আইডি বিস্ফোরণের মুখে পড়ে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ডের একটি গাড়ি। ওই গাড়িতে ছিলেন বেশ কয়েকজন ডিআরজি জওয়ান। ভয়ংকর বিস্ফোরণে ৯ জওয়ান শহিদ হন। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
News Hub