সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঝাঁ চকচকে ইউনিফর্ম, একাধিক গৃহশিক্ষক, ঝলমলে মোড়কে মোড়া ‘গাইড বুক’। এই হচ্ছে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার ভিত। তবে ইচ্ছা ও মেধা যে আজও প্রাচুর্য্যেকে ছাপিয়ে যেতে পারে তা প্রমাণ করলেন ছত্তিসগড়ের কিরণ। বাবা অটোচালক, অভাবী সংসার। আরও অনেক প্রতিকূলতা কাটিয়ে আইআইটির প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ওই মেধাবী ছাত্রী। দেশে ১৬৯তম স্থান দখল করে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইআইটি দিল্লিতে ভর্তি হওয়ার পথ তৈরি করেছেন তিনি।
[বরফের ‘বিছানা’ থেকে ৭৫ বছর পর উদ্ধার দম্পতির দেহ]
কিরণের এই সাফল্যে দারুণ খুশি তাঁর পরিবার। খুশি শিক্ষক এবং প্রতিবেশীরাও। মেয়ের কৃতিত্বে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে দিয়েছেন বাবা ভগবান ও মা সীমা। তবে তাঁদের চোখে রয়েছে উদ্বেগের স্পষ্ট ছায়া। ওই ছাত্রীর মা জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী অটো চালান। যা আয় হয় তাতে দু’বেলা অন্নসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। মেয়েকে সব প্রয়োজনীয় বই বা সুবিধা দিতে পারেননি তাঁরা। তবুও শুধু মাত্র মেধা ও পরিশ্রমে ভর করে আজ কিরণ সফল হয়েছে। আক্ষেপ ভরা সুরে ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, অভাবের তাড়নায় তিনি নিজে পড়াশোনা চালাতে পারেননি। একাদশ শ্রেণীতেই খাতা-কলমকে বিদায় জানিয়ে সংসারের জোয়াল কাঁধে নিয়েছিলেন তিনি। তাই তিনি চান, তাঁর মেয়ে পড়াশোনা করে সমাজে মাথা উঁচু করে বাঁচুক।
[OMG! এটিই বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো ইমোজি]
নিজের সাফল্যে দারুন খুশি কিরণ। তাঁর এই কৃতিত্বের পেছনে তাঁর বাবা মার অবদানই প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যে ওই ছাত্রীর অবস্থা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। বলরামপুরের জেলাশাসক অবনীশ কুমার জানিয়েছেন, কিরণের পড়াশোনার যাবতীয় ব্যয় বহন করবে জেলা প্রশাসন। এই আশ্বাসে খুশি ছাত্র্রীর পরিবার। পরিশ্রম, মেধা ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনও পরিস্থিতিতেই যে লড়াই করে সফল হওয়া যায় তা আরও একবার প্রমাণ করলেন কিরণ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.