সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দরকারে দেশের কাজে আসতে চাইতাম। তাই এই কঠিন সময়ে আর বাড়িতে বসে থাকতে পারলাম না। এখন মানুষের সেবা করার সুযোগ পাওয়াটাই আমার কাছে গর্বের বিষয়।’ আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রোগীদের পরিষেবা দিতে দিতে এই কথা জানালেন ছত্তিশগড়ের এক স্বাস্থ্যকর্মী। কোন্ডাগাঁও জেলার কেরাওয়াহি গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবতীর নাম সন্তোষী মানিকপুরী (Santoshi Manikpuri)। তাঁর এই লড়াইয়ের কথা জানাজানি হতেই কুর্নিশ করছেন সবাই।
It is a matter of honour that we serve people. I am happy to do my work, and that I am getting to serve the country in a time like this. I have the full support of my family and husband. They keep encouraging me in my work: Santoshi Manikpuri https://t.co/fWN8XnBfoa
— ANI (@ANI) April 21, 2020
গত কয়েকমাস ধরে বিশ্বজুড়ে করোনার প্রকোপে মৃত্যুমিছিল চলছে। আতঙ্কিত মানুষের চোখের সামনে প্রতিদিনই জমছে লাশের পাহাড়। ঠিক তখনই একদম সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সাফাইকর্মীরা। তারই এক জ্বলন্ত উদাহরণ হলেন ছত্তিশগড়ের ওই যুবতী। যদিও নিজের কাজকে খুব বড় করে দেখতে চাইছেন না সন্তোষী। সহকর্মী ও সিনিয়ররা বারবার তাঁকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিলেও শুনছেন না কোন কথাই।
এপ্রসঙ্গে সন্তোষী বলেন, মানুষকে সেবা করার সুযোগ পাওয়াটা আমাদের কাছে গর্বের বিষয়। এই কাজ করতে পেরে আমার খুব আনন্দ হয়। তাছাড়া এরকম একটা সময়ে আমি যে দেশের কাজে আসতে পারছি তার জন্য খুব গর্ব অনুভব করছি। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাকে সবসময় উৎসাহ দেয় আমার পরিবার ও স্বামী। তাদের সাহায্য ও অনুপ্রেরণা ছাড়া কোনও কিছু করতে পারতাম না আমি।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় যখন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তখন সন্তোষী মানিকপুরীর মতো মানুষদের দেখলে লজ্জা হয়। ভগবান, আল্লা বা গডকে আমরা চোখে দেখতে না পেলেও সম্মান করি, মানি। কিন্তু, তিনিই যখন মানুষরূপে অবতীর্ণ হয়ে আমাদের পরিষেবা দেন তখন তাঁকে চিনতেও পারি না। উলটে তাঁর উপর চড়াও হয়ে হেনস্তা বা মারধর করি!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.