সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় ২১ দিনের লকডাউনই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে করোনার পরীক্ষাও। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। রোগীকে চিহ্নিত করা গেলে তবেই তাঁকে আলাদা করা সম্ভব। সম্ভব সংক্রমণ আটকানো। এই প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই এবার অনবদ্য উদ্যোগ নিল তামিলনাড়ু। COVID-19 সমীক্ষা করতে প্রতিটি বাড়িত পৌঁছে যাবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
সঠিক সময়ে অত্যন্ত জরুরি একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করে গোটা দেশকে দিশা দেখাচ্ছে গ্রেটার চেন্নাই কর্পোরেশন (GCC)। মানুষের বাড়ি-বাড়ি গিয়ে এটাই সম্ভবত দেশের সবচেয়ে বড় সমীক্ষা হতে চলেছে। চেন্নাইয়ের প্রত্যেক পরিবারের কাছে গিয়ে জেনে নেওয়া হবে, কোনও সদস্যে জ্বর, সর্দি-কাশির মতো করোনার কোনও উপসর্গ রয়েছে কি না। আগামী ৯০ দিন শহরের অন্তত ১০ লক্ষ বাড়িতে এই সমীক্ষা চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে GCC-র। এই বৃহৎ ও মহৎ কাজে অংশ
নেবেন কমপক্ষে ১৬ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী। প্রত্যেকের সুরক্ষার জন্য স্যুট, গ্রাভস, মাস্ক দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই সাড়ে ১১হাজার মাস্ক অর্ডার করা হয়েছে বলে খবর। এই কাজের জন্য প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীকে মাসে ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
গোটা শহরকে ১৩,১০০টি ক্লাস্টারে ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে। যার প্রতিটিতে ৭৫ থেকে ১০০টি ঘর পড়ছে। তামিলনাড়ুর মন্ত্রী এসপি বেলুমণি জানান, আগামী ৯০ দিন ধরে রোজ চলবে সমীক্ষা। সাধারণ সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যকর্মীরাই প্রাথমিক চিকিৎসার পরামর্শ দেবেন। তবে তাঁরা মনে করলে স্থানীয় হাসপাতাল ভরতির নির্দেশ দিতে পারেন। প্রতিদিনের সমীক্ষার বিস্তারিত তথ্য থাকবে সরকারের কাছে।
তামিলনাড়ুতে বাড়তে থাকা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। মহারাষ্ট্রের পরই ভাইরাস সংক্রমণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই রাজ্য। রবিবার সকাল পর্যন্ত সাড়ে চারশোরও বেশি আক্রান্তের কথা জানিয়েছে প্রশাসন। সে রাজ্য থেকে দিল্লির নিজামুদ্দিনের তবলিঘি জামায়েতের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ৭৩ জনের শরীরেও মিলেছে করোনার জীবাণু।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.