Advertisement
Advertisement
জল

শুষ্ক হ্রদকে পূর্ণ করার উদ্যোগ, চেন্নাইয়ের জলসংকট মেটাতে প্রাথমিক কাজ শেষ

এই মুহূর্তেই হ্রদের জল পানযোগ্য কি না, তা পরীক্ষাসাপেক্ষ৷

Chennai lake Paruthapattu has been rejuvenated by water
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 27, 2019 4:22 pm
  • Updated:June 27, 2019 4:22 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণের গ্রাসে শুকিয়ে গিয়েছে বেশ কয়েকটি হ্রদ৷ ফলে চেন্নাই শহরে জলের নিদারুণ অভাব৷ অন্তত ৪টি হ্রদের জলশূন্য দশা আচমকাই বিপাকে ফেলেছে শহরবাসীকে৷ তবে এত উদ্বেগের মধ্যেও সুখবর৷ ৮৫ একরের পারুথাপাট্টু লেক জলপূর্ণ হয়ে উঠেছে৷ ২৮ কোটি টাকার প্রকল্পে খননকাজে হ্রদের গভীরতা আরও বেড়ে যাওয়ায়, সমস্যা কিছুটা সমাধানের পথে৷

[আরও পড়ুন: হরিয়ানায় দুষ্কৃতী-রাজ! প্রকাশ্যে খুন রাজ্য কংগ্রেসের মুখপাত্র]

জলকষ্ট সমাধানে চেন্নাইয়ের আভাদি পুরসভা হ্রদগুলি সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে৷ ২৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নেওয়া হয় পারুথাপাট্টু লেকের খননকাজে৷ গভীরতা বৃদ্ধির মাধ্যমে হ্রদের পূর্ব চেহারা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলেছে৷ ৫০০ জন খননকাজে হাত লাগায়৷ ১২ ফুট গভীর এবং ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকাজুড়ে খোঁড়া হয়৷ সেখান থেকে নিকাশি ব্যবস্থাকেও কিছুটা উন্নতির জন্য আরও ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়৷ প্রথম ধাপের কাজ শেষ৷ আগামী সপ্তাহ থেকে হ্রদে জলসরবরাহের কাজ হবে৷ এর জন্য পাম্পিং ব্যবস্থা এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপায়ে জল আনার ব্যবস্থা হয়েছে৷ পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এখানকার জল আশেপাশের শিল্পাঞ্চলে টাকার বিনিময়ে দেওয়া হবে৷ তাতে আদতে অনেক দিক থেকে লাভ হবে৷

Advertisement

বিপদ মোকাবিলায় গোটা প্রকল্পটির মাস্টারমাইন্ড আসলে তামিলনাডুর সংস্কৃতি মন্ত্রী কে পান্ডিয়ারাজন৷ যিনি প্রায় আড়ালে থেকেই এই রাস্তা বের করেছেন৷ আভাদি পুরসভাকে দিয়ে অত্যন্ত সুন্দরভাবে কাজটি করিয়ে নিয়েছেন৷ প্রকল্প প্রায় শেষের পথে৷ তাই এবার তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন৷ বলছেন, ‘আভাদি মূল হ্রদঘেরা জেলা৷ অন্তত ১৫টি লেক আছে এখানে৷ আপাতত পারুথাপাট্টু লেকে সংস্কার করে জলসংরক্ষণের কাজ করা হয়েছে৷ বাকিগুলোতেও করা হবে৷ পরিবেশের জন্যই এই উদ্যোগ৷ আশা করি, সফল হব৷’

[আরও পড়ুন:উর্দু গীতা, পারসি রামায়ণের অমূল্য সম্পদ দিল্লির এই একচিলতে ঘরে]

এখনই কি এই লেক চেন্নাইয়ের জলকষ্ট মেটাতে পারবে? এই প্রশ্নের কিন্তু তত আশাব্যঞ্জক উত্তর মিলছে না৷ মন্ত্রী পান্ডিয়ারাজন জানাচ্ছেন, এক্ষুণি জলসমস্যা মেটানোর মতো পরিস্থিতি নেই৷ তাঁর কথায়, ‘এই মুহূর্তে লেকের জল মানুষের পানের যোগ্য নয়৷ অন্যরকমভাবে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তাই পরীক্ষা করে দেখতে হবে, পানের জন্য কতটা বিশুদ্ধ৷ তার জন্য কিছুটা সময় লাগবে৷’ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এমাসের মধ্যে চেন্নাইয়ের হ্রদগুলি কীভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে, তা ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির রিপোর্টে তা প্রকাশিত হওয়ার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement