Advertisement
Advertisement

Breaking News

বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ মিলল

একক প্রচেষ্টায় চন্দ্রপৃষ্ঠে বিক্রম ‘আবিষ্কার’, নাসাকে পথ দেখিয়ে নায়ক চেন্নাইয়ের যুবক

তেত্রিশ বছরের এই যুবক পেশায় ইঞ্জিনিয়ার।

Chennai engineer uses Nasa images to find Vikram lander debris
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:December 3, 2019 12:33 pm
  • Updated:December 3, 2019 1:59 pm  

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও, মহাকাশের প্রতি অসীম আগ্রহ। তাই কোনও মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত না থেকেও কেবলই নিজের তাগিদ থেকে বিক্রমকে খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন চেন্নাইয়ের সন্মুগ সুব্রণ্যহ্মন। অবশেষে তাঁর অন্বেষণেই পাওয়া গেল চন্দ্রযান ২’র ভেঙে পড়া ল্যান্ডার বিক্রমের টুকরো অংশ। চন্দ্রপৃষ্ঠে বিক্রমের খণ্ডবিখণ্ড ছবি প্রকাশ করে গোটা কাজের কৃতিত্বই তেত্রিশ বছরের এই ইঞ্জিনিয়ারকে দিয়েছে নাসা।
গত সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান ২’র ল্যান্ডার বিক্রম চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কথা ছিল। বিজ্ঞানীদের কথায় যা ছিল ‘সফট ল্যান্ডিং’। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে তা চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের ঠিক আগেই অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে দেখা যায়, বিক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে চাঁদের মাটিতে। বিক্রমের এই পরিণতির কথা জানা গেলেও, কিছুতেই তার কোনও অংশের অস্তিত্ব টের পাচ্ছিলেন না ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এমনকী শক্তিশালী ক্যামেরা দিয়ে বিক্রমের দিকে কোনও আলো ফেলতে পারেনি নাসাও। তবে চেষ্টা থামেনি।

[আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে হদিশ বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের, ছবি প্রকাশ নাসার]

চাঁদের যে অংশে বিক্রমের অবতরণের কথা ছিল, সেই স্থানের একটি ছবি নাসা প্রকাশ করে ২৬ সেপ্টেম্বর। বিক্রম ভেঙে পড়ার আগে-পরে ওই অংশের কোনও পরিবর্তন হয়েছে কি না, সে বিষয়ে মত প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছিল জনতার কাছে। তা দেখেই নিজের মতো করে বিক্রমকে খুঁজতে বসেন চেন্নাইয়ের সন্মুগ। তাঁর কথায়, “আমি নিজের ল্যাপটপে ছবিগুলোকে বড় করে দেখি। একদিকে পুরনো ছবি, আরেকদিকে নতুন ছবি। ব্যাপারটা বোঝা বেশ কঠিন ছিল। তবে আমি পরিশ্রম করেছিলাম। এবং আমি ল্যান্ডার বিক্রমকে আবিষ্কার করি।” বছর তেত্রিশের ইঞ্জিনিয়ার সন্মুগ আরও জানিয়েছেন, ”আমার মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি বরাবর একটা ঝোঁক ছিল। ইসরোর প্রতিটি উৎক্ষেপণই আমি ভালভাবে লক্ষ্য করেছি। মনে হচ্ছে, এতদিনে আমার আগ্রহ, কাজ সব সম্পূর্ণ হয়েছে। খুব ভাল লাগছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ ধর্ষণে অভিযুক্তদের জেলে খাওয়ানো হল খাসির মাংস! ক্ষোভ সোশ্যাল মিডিয়ায়]

নাসার তরফে নতুন ছবি প্রকাশ করার পর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ”সন্মুগই প্রথম ব্যক্তি যিনি অবতরণস্থল থেকে ৭৫০ মিটার উত্তর-পশ্চিমের একটি ধ্বংসাবশেষ দেখে আমাদের জানান যে সেটি বিক্রমের। এ ব্যাপারে আমাদেরও নিশ্চিত হতে বলেন।” নাসার বিজ্ঞানী নোয়া পেট্রো ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন সন্মুগকে। বলেছেন, ”চেন্নাইয়ের এই ইঞ্জিনিয়ার একদম এককভাবে কাজ করেছেন। তিনি আমাদের ছবিগুলো পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করেই গোটা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। একার চেষ্টায় এই কাজ কঠিন ছিল। চন্দ্রযান ২ মিশনের সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত না হয়েও, তিনি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় কাজটি করলেন, যা আমরাও পারিনি।” এই কীর্তির জন্য মহাকাশ গবেষণায় এক নতুন নাম হয়ে উঠছেন চেন্নাইয়ের সন্মুগ সুব্রহ্মণ্যন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement