সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গণেশ পুজো মানেই মুম্বইয়ে উৎসবের মেজাজ৷ শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ধুমধাম করে লাখো লাখো গণেশ পুজো হয় এবং তারপর আরও জাঁকজমক করে হয় ঠাকুর বিসর্জন৷ কিন্তু এত উন্মাদনা আর সেলিব্রেশনের মাঝে গণেশ ভক্তরা জেনে-বুঝে বা অজান্তেই অনেক ক্ষতি করেন৷ একবার নয়, প্রতিবার৷ এবারও তার ব্যতিক্রম হল না৷
গণেশ পুজোয় ওদের কেউ আপ্যায়ন করে না৷ ওরা নিজে থেকেও আম আদমির ‘হুজুগে’ মাতে না৷ তা সত্ত্বেও দিনের শেষে প্রাণ খোয়াতে হয় ওদের৷ উৎসবে মত্ত মানুষদের আনন্দের শিকার হতে হয়৷ হাজার হাজার মরা মাছ সকলের অলক্ষে জলে ভেসে ওঠে৷ গণেশ বিসর্জনের পর মুম্বইয়ের কান্দিভালি এলাকার একটি পুকুরে ৩০০টিরও বেশি মাছ মরে গিয়েছে৷ কারণ? অজস্র গণেশ মূর্তিতে থাকা নানা ধরনের রাসায়নিক পদার্থ জলকে দূষিত করে৷ এছাড়া পচা ফুল, নারকেল, মিষ্টি, ছেঁড়া কাপড়ও জলদূষণ করে মাছেদের ক্ষতি করে৷ হিসেব করে দেখুন, একটি পুকুরেই যদি এত পরিমাণ মাছ মারা গিয়ে থাকে, তাহলে বাণিজ্যনগরীর কত পুকুরে কত মাছ মরতে পারে! শুধু পুকুর কেন, আরব সাগর উপকূলেও তো বিসর্জনের ভিড় কম হয় না৷ সেখানেও মাছের ক্ষতির অঙ্কটা নেহাত কম নয়৷
এমন ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয়রা পুজো সংগঠকদের পুকুর পরিষ্কার করে দেওয়ার আর্জিও জানিয়েছেন অনেকবার৷ সংগঠকরা অবশ্য মুখের উপর ‘না’ বলেননি৷ কিন্তু বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি৷ জানা গিয়েছে, এবার বিসর্জনের পর মুম্বইয়ের সমুদ্রসৈকত ও পুকুর থেকে ১০৮০ টন আবর্জনা সাফ করা হয়েছে৷ বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে পুজো সংগঠকদের কাছে ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে৷ তবে প্রশ্ন হল, এভাবে কী সমস্যা মিটবে? মানুষকে মানসিকভাবে সচেতন করতে কি সরকার কোনও পদক্ষেপ নেবে? উত্তর এখনও অজানা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.