শহিদ ভাইয়ের মূর্তিতে রাখি বেঁধে চোখের জলে ভাসলেন দিদি

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে রাখি৷ ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে শুভকামনায় ব্যস্ত বোনেরা৷ হাতে রাখি বেঁধে, মিষ্টিমুখ করিয়ে ভাইয়ের কল্যাণ কামনা করছে তারা৷ ঘরে ঘরে আজকের এই দৃশ্য খুবই পরিচিত৷ কিন্তু আজকের দিনটি একটু অন্যরকমভাবে কাটে ছত্তিশগড়ের বাসিন্দা এক মহিলার৷ বছর চারেক ধরে এই দিনটায় বেদনাই যেন একমাত্র সম্বল তাঁর৷

Chhattisgarh: A woman from Dantewada whose brother was killed by Naxals, ties rakhi on his idol every #RakshaBandhan, says,”He was posted in Sukma’s Tongpal. On March 2014 he died during a search operation. I feel bad that I can’t tie him in person but I’m proud of him.”(25.8.18) pic.twitter.com/Pw9IZS5LBA

Advertisement

— ANI (@ANI) August 25, 2018

আরও পড়ুন:

• ২০২৪-এ শ্রীনগরের একজন যুবকও যোগ দেয়নি জঙ্গি দলে, ভূস্বর্গের ‘সুখবর’ শোনাল পুলিশ
• বাংলা ও বিহারে আর্সেনিকের প্রভাব সবচেয়ে বেশি, পরিবেশ আদালতে রিপোর্ট কেন্দ্রের

[সোনায় মোড়া মোদি-যোগী রাখি, চমক দিলেন সুরাটের স্বর্ণ ব্যবসায়ী]

ছোট থেকে ভাই ছাড়া কিছুই বুঝতেন না ওই মহিলা৷ নিজের থেকে বয়সের পার্থক্য ছিল তাঁর অনেকটাই৷ তাই সন্তানের স্নেহেই ভাইকে দেখতেন তিনি৷ ভাইয়ের সঙ্গে খুনসুটি, দুষ্টুমি, ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত তাঁদের৷ হাজারও ঝগড়াঝাটির মাঝে রাখির দিনটা ছিল একটু অন্যরকম৷ এদিন আর ঝগড়াঝাটি নয়৷ সকাল সকাল ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে, মিষ্টিমুখ করাতে না পারলে, যেন কোনও কাজেই মন বসত না ওই তাঁর৷ এভাবেই দিব্যি চলছিল সবকিছু৷ চোখের নিমেষে ছোট্ট ভাইও বড় হয়ে গেলেন৷ যোগ দিলেন চাকরিতে৷ সেনার চাকরি পাওয়ায় ভাইয়ের ঠিকানা হল সুকমার টংপাল৷ চাকরির দরুন বাইরে থাকায় বেশ কয়েকবছর ভাইয়ের হাতে রাখি বেঁধে শুভকামনা করতে পারেননি ওই মহিলা৷ কিন্তু নিজের বাড়িতে বসেই সুকমার টংপালে সেনা ছাউনিতে কাজে ব্যস্ত থাকা ভাইয়ের জন্য প্রার্থনা করতেন তিনি৷ এভাবেই চলছিল দিব্যি৷ কিন্তু ২০১৪ সালেই এল সেই দুঃসংবাদ৷ নকশাল হামলায় প্রাণ হারান ওই জওয়ান৷ বাড়ি ফিরল ভাইয়ের কফিনবন্দি দেহ৷  

[ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে শহিদ ২ সেনা জওয়ান, জখম বহু]

২০১৪ থেকে ২০১৮৷ মাঝে কেটে গিয়েছে চার-চারটি বছর৷ ভাইকে হারানোর ব্যথা এখনও যন্ত্রণা দেয় তাঁকে৷ প্রতিবছর রাখিতেই মন কেঁদে ওঠে তাঁর৷ ভাইয়ের মূর্তিই এখন একমাত্র সম্বল৷ তাই রাখি নিয়ে ওই মূর্তির সামনেই হাজির হন তিনি৷ ছবির সামনে থালা সাজিয়ে দেন রকমারি মিষ্টিতে৷ চোখের জলেই ভাসে গোটা দিন৷ তিনি বলেন, ‘‘রাখি না পরাতে পারায় ভাইয়ের জন্য খারাপ লাগে৷ কিন্তু দেশের জন্য ভাই প্রাণ দিয়েছে, এটা ভাবলেই গর্ব অনুভব করি৷’’