Advertisement
Advertisement
কংগ্রেস

‘চৌকিদার চাইনিজ হ্যায়’, লাদাখ ইস্যুতে মোদিকে বিঁধতে নয়া স্লোগান ছত্তিশগড় কংগ্রেসের

প্রধানমন্ত্রীকে এর আগেও বহুবার কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস।

Chattisgarh Congress new trends #ChowkidarChinesehain to slam Modi

প্রতীকী ছবি

Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:June 23, 2020 1:57 pm
  • Updated:June 23, 2020 2:26 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্দো-চিন সংঘাত নিয়ে বরাবরই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে একঘরে করার চেষ্টা করেছে কংগ্রেস। ২০ জন ভারতীয় সেনার মৃত্যুর জন্যও পরোক্ষভাবে দায়ও চাপানো হয়েছে মোদি সরকারের উপরেই। এবার সেই লক্ষ্যে এক নয়া মাত্রা জুড়ল ছত্তিশগড় কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধতে নতুন হ্যাশট্যাগ ট্রেন্ডিং করেছে তারা। যার নাম হ্যাশট্যাগ চৌকিদার চাইনিজ হ্যায় (#ChaukidarChineseHai)।

লোকসভা ভোটের আগের কথা মনে আছে নিশ্চই। রাফাল বিমান কেনা নিয়ে বিস্তর দুর্নীতি হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল কংগ্রেস। সেই সময়ে ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান মুখে মুখে ফিরেছিল সকলের। সেই স্লোগানের জেরে পরে অবশ্য প্রচুর জলঘোলা হয়। তবে সাত থেকে সত্তরের কাছে বিশেষ পরিচিত হয়ে ওঠে এই স্লোগান। লাদাখ ইস্যুতেও এবার সেই ট্রেন্ডকেই বজায় রাখার চেষ্টা করল ছত্তিশগড় কংগ্রেস। টুইটের পর টুইট আর রিটুইটের ঝড় তুলে ছত্তিশগড় (Chattisgarh) কংগ্রেস ট্রেন্ডিং করল নতুন স্লোগান- ‘চৌকিদার চাইনিজ হ্যায়’। ছত্তিশগড় প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে টুইটে জানানো হয়, “সর্দার বল্লভভাই পটেলের মূর্তি বানিয়েছে একটি চাইনিজ সংস্থা, প্রধানমন্ত্রী নিজে পেটিএমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর। রাস্তা বা সুড়ঙ্গ নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়েছে চিনের সংস্থাকে, প্রধানমন্ত্রী নয় বার চিনে গিয়েছেন তাই #ChaukidarChineseHai”। প্রাক্তন বিধায়ক চুন্নিলাল সাহু লিখেছেন, “চিনের বন্ধু, জাতির বিশ্বাসঘাতক #ChaukidarChineseHai”।

Advertisement

[আরও পড়ুন:চিনা অফিসারকে সজোরে ঘুসি ভারতীয় জওয়ানের, সামনে এল সীমান্তে মারামারির ভিডিও]

গত সপ্তাহের সর্বদলীয় বৈঠকে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, “কেউ আমাদের সীমান্তে প্রবেশ করেনি। আমাদের সেনা চৌকি কেউ দখল করেনি।” কিন্তু সেই বক্তব্যের পর থেকে লাদাখ ইস্যু নিয়ে বিতর্কের জল আরও ঘোলা হয়। বিরোধীরা একের পর এক প্রশ্ন বাণে বিঁধতে থাকেন প্রধানমন্ত্রীকে। সীতারাম ইয়েচুরি থেকে রাহুল গান্ধী সকলেই সওয়াল করেন তাহলে ভারতীয় সেনারা নিহত হলেন কী করে? এমনকী প্রধানমন্ত্রীর কথার রেশ ধরে বেজিংও বলীয়ান হয়ে ওঠে। কারণ, তারাও প্রথম থেকেই জানিয়ে এসেছে যে, লালফৌজ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেনি। তবে বিতর্কের মুখে পড়ে মোদি পরে ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করলেন ঠিকই তবে বিতর্কের জল ততক্ষণে অনেকটা পথ পারি দিয়ে ফেলেছে।

[আরও পড়ুন:বিহার সীমান্তে ফের উত্তেজনা, ভারতের বাঁধ সংস্কারের কাজ বন্ধ করল নেপাল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement