সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’ জাহাজে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫২। এর মধ্যে ১৪ জন ভারতীয় এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের শিকার হয়েছে বলে খবর। ভারতীয় দূতাবাসের তরফে আগই জানানো হয়েছিল, জাহাজে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। এবার দিল্লি থেকে একটি চার্টার্ড বিমান জাপানের দিকে রওনা দিয়েছে। জাহাজে আটকে থাকা ভারতীয়দের নিয়ে দেশে ফিরবে এই বিমান।
তবে করোনা আক্রান্ত ভারতীয়দের এখন ফেরানো হবে কিনা, তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। কারণ তাঁদের এখন আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে তাঁদের। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে, তাঁদের ছাড়া বাকি ভারতীয়দের নিয়ে দেশে ফিরবে চার্টার্ড বিমান। জাপানের ভারতীয় দূতাবাসের তরফে জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসে কারা আক্রান্ত হয়েছে সেই সংক্রান্ত মেডিক্যাল রিপোর্ট ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চলে আসবে। এর পরেই দেশের দিকে রওনা দেবে চার্টার্ড ফ্লাইট। রাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এই খবর জানানো হয়েছে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে জাপানে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে একটি প্রমোদ তরণীকে। নাম ডায়মন্ড প্রিন্সেস। তাতে যাত্রী ও নাবিক মিলিয়ে আছেন ৩৭০০ জন। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই দু’জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে জাহাজে। শেফদের একজন বাঙালি। তাঁর নাম বিনয় কুমার সরকার। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তাঁকে যেন নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সোনালি ঠাকুর নামে আর এক ভারতীয় কর্মীও একই আবেদন জানিয়েছেন।
টোকিওয় ভারতীয় দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে। মারণ ভাইরাস আক্রান্ত চিনকে সাহায্য করতে একটি বিশেষ বিমানে করে চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম চিনে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিল দিল্লি। এও জানিয়েছিল, ফেরার সময়ে উহানে আটকে থাকা বাকি শ’খানেক ভারতীয়কে নিয়ে আসবে তারা। পড়শি দেশের কোনও নাগরিক ভারতের বিমানে ফিরতে চাইলে, তাঁদেরও নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত সবুজ সঙ্কেত দেখাল না চিন। এ নিয়ে কূটনৈতিক মহলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.