কোয়েল মুখোপাধ্যায়: না। ‘অ্যাস্ট্রোলজি’র সঙ্গে ‘অ্যাস্ট্রোনমি’র কোনও সম্পর্ক নেই। গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান নিয়ে অঙ্ক কষে বিজ্ঞান চলে না। সায়েন্স মানে না দেব-দেবীর অস্তিত্বও। কিন্তু একই সঙ্গে এই কথাও একশো শতাংশ খঁাটি যে, চন্দ্রযান-৩ এর মহাশূ্ন্যে পাড়ির আগে তার রূপকার, ইসরোর বিজ্ঞানীরাই ছুটেছিলেন মন্দিরে। দেব-আশিস লাভের পরই ১৪ জুলাই, বার শুক্রে, দুপুর ২.৩৫ মিনিটে লক্ষ্যের দিকে রওনা দিয়েছিল ইসরোর চাঁদ-সওয়ারি। দীর্ঘ প্রায় ৪০ দিনের যাত্রা শেষে আজ, বুধবার চাঁদের অনাবিষ্কৃত, বরফাবৃত দক্ষিণ মেরুতে নামতে চলেছে তৃতীয় চন্দ্রযান। সে কি পারবে ইতিহাস গড়তে?
জ্যোতিষ বলছে সম্ভাবনা ৫০ : ৫০। জোতিষ বিশারদ অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মহাকাশ অভিযানে ভারতবর্ষের সাফল্য নিয়ে আশা করাই যায়। কারণ ভারতবর্ষের মকর রাশি। মকর রাশির দ্বিতীয়ে শনি নিজের ঘরে বসে। কিন্তু সেই সাফল্য এই নির্দিষ্ট তারিখেই (পড়ুন আজ, ২৩ আগস্ট) আসবে কি না, তা স্পষ্ট করে বলা মুশকিল। তিনি আরও জানাচ্ছেন, বিগত আড়াই বছর ধরে শনি মকরে ছিল। কুম্ভে আরও আড়াই বছর শনি থাকছে। কাজেই এই আড়াই বছরে মহাকাশ বিজ্ঞানে ভারতের জন্য বড় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
বুধবার সন্ধ্যা ৬.০৪ মিনিটে চাঁদের মাটি ছোঁয়ার কথা তৃতীয় চন্দ্রযানের। সময়টি ভাল। তার কারণ, শনি কুম্ভে থাকতে থাকতেই ভারতে মহাকাশ বিজ্ঞানে অগ্রগতি হওয়ার সম্ভাবনা। আসলে কুম্ভ হল শনির মূল ত্রিকোণ। তাই বড় কোনও ‘সায়েন্টিফিক ডিসকভারি’ এই সময় হওয়া সম্ভব। অন্যদিকে জ্যোতিষী বিনায়ক ভাটের নিরীক্ষণ বলছে, যাত্রাশুরুর দিন-ক্ষণ অত্যন্ত শুভ ছিল চন্দ্রযানের। তাই অভিযানের প্রতিটি ধাপ সে পেরিয়েছে নির্বিঘ্নে, উৎকর্ষের সঙ্গে। তবে শেষ লগ্নে মালুম হচ্ছে যে, তার কুণ্ডলীতে বুধ দুর্বল। ভাবগতিক খুব একটা ভাল নয়। কমিউনিকেশনস-এ তাই জোর দেওয়া উচিত বিজ্ঞানীদের। তা না হলে শেষ মুহূর্তে এসে সমস্যার মুখে পড়তে পারে ইসরোর যান। ট্যারো কার্ড রিডিং-এও ফল একই। ‘কিং অফ সোর্ডস’ এবং ‘সিক্স অফ কাপস’-এর জেরে শুরুটা জমজমাট ছিল চন্দ্রযানের। কিন্তু পরে ‘দ্য লাভার্স’ এবং ‘পেজ অফ পেন্টাকলস’-এর আগমনে বাধা আসলেও আসতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.