Advertisement
Advertisement

চাঁদমামার দেশে জলের সন্ধান, চন্দ্রযানে রয়েছে দু’টি বিশেষ যন্ত্র

গাণিতিক নিয়ম মেনেই পৃথিবীর চারপাশে আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে চন্দ্রযান-২।

Chandrayaan-2: ISRO two special equipment to search water on moon
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 23, 2019 4:53 pm
  • Updated:July 23, 2019 5:25 pm

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীহরিকোটা: জলেই প্রথম প্রাণের উৎপত্তি পৃথিবীতে। বিবর্তনের নিয়ম মেনেই এককোষী প্রাণী থেকে সৃষ্টি হয় আজকের আধুনিক জীবজগতের। আজ প্রাণে ভরপুর ‘নীলগ্রহ’। ফলে ব্রহ্মাণ্ডে জলের সন্ধান চালাচ্ছে বিশ্বের তাবড় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি। সেই পথেই এবার চন্দ্রযান-২-এ চন্দ্রপৃষ্ঠে জল খুঁজতে বিশেষ দু’টি যন্ত্র পাঠিয়েছে ইসরো।

[আরও পড়ুন: চন্দ্রযান-২ অবতরণের শেষ ধাপের ১৫ মিনিট নিয়ে আতঙ্কিত ইসরো]

Advertisement

ইসরো জানিয়েছে, চন্দ্রযানে-২-এ রয়েছে ইমেজিং আইআর স্পেকট্রোমিটার ও ডুয়েল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার নামের দু’টি যন্ত্র। প্রথম যন্ত্রটির সাহায্যে একবছর ধরে চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের সন্ধান চালানো হবে। সেই সঙ্গে চাঁদের খনিজ ভাণ্ডারেরও সন্ধান চালাবে এই যন্ত্র। দ্বিতীয় যন্ত্রটি বা ডুয়েল ফ্রিকোয়েন্সি সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডারটি চাঁদের মেরু অঞ্চল ও চন্দ্রপৃষ্ঠের ঠিক নিচের স্তরে জল রয়েছে কি না, তা খুঁজবে। ইসরোর বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে চন্দ্রযান ১-এ অরবিটার চাঁদের অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকাতেই জলের অস্তিত্ব পেয়েছিল। তাই এবার সেখানে আরও অনুসন্ধান চালাতেই এই পদক্ষেপ। শুধু তাই নয়, চন্দ্রযানে চাঁদের বায়ুমণ্ডল-সহ খনিজ, মাটি, তাপমাত্রা, মাটির উপাদান প্রভৃতি একাধিক বিষয়ে গবেষণা করার বিভিন্ন যন্ত্র থাকছে।

এদিকে, গাণিতিক নিয়ম মেনেই পৃথিবীর চারপাশে আপাতত ঘুরপাক খাচ্ছে চন্দ্রযান-২। যানটির গতিবিধি চলছে পরিকল্পনা মাফিক। তবে ইসরো জানিয়েছে অভিযানের শেষ ধাপের কয়েক মুহূর্তই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম অভিযানের কথা মনে করাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বলছেন, কক্ষপথ পর্যন্ত যাওয়া একেবারে প্রথম চন্দ্রযানের পা মিলিয়েই। সেখানে অঙ্কের হিসাব। এক পা-ও বাইরে না ফেলে সোজা পিতৃপুরুষের দেখানো পথেই চাঁদের কাছে পৌঁছবে ফ্যাট বয়। ইতিমধ্যে শেষ মুহূর্তের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ১৫ মিনিটের একটি হিসাব কষে রেখেছে ইসরো। সব ঠিক থাকলে অবতরণের মিনিট পনেরো পর চাঁদের মাটিতে দাঁড়িয়ে চাঁদের প্রথম ছবিটি তুলে ইসরোকে পাঠাবে বিক্রম। এরপর গবেষণায় মন। ঘন্টা চারেক পর তার গর্ভ থেকে বেরিয়ে আসবে প্রজ্ঞান (রোভার)। দুই ভাইয়ে মিলে তখন শুরু হবে চাঁদের পাহাড় আবিষ্কারের পালা। দিনটা সম্ভবত ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯। প্রায় ভোর।

[আরও পড়ুন: উত্তরাখণ্ডের ১৩২টি গ্রামে গত তিন মাসে জন্মায়নি একটিও কন্যাসন্তান! উদ্বেগ মুখ্যমন্ত্রীর]

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement