সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এটাই বোধহয় কাকতালীয় সমাপতন! বৃহস্পতিবারই এক সরকারি অনুষ্ঠানে গিয়ে হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসককে ধর্ষণে অভিযুক্তদের সর্ব্বোচ্চ্ শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীকে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ছেলে তথা রাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী কেটি রামা রাও। তাঁর কথায়, “বাকিদের মতো আমিও চাই ওই চারজনের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি হোক। দ্রুত সর্ব্বোচ্চ শাস্তির পথে আইনই বাধা।” এরপরই ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। তার আগেই শুক্রবার কাকভোরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ চলাকালীন এনকাউন্টারে চারজনই মারা যায়। এরপরই দানা বেঁধেছে বির্তক।
দিন দশেক আগে হায়দরাবাদ থেকে কিছুটা দূরে সামশেরবাদের টোল প্লাজার কাছে এক মহিলা পশু চিকিৎসককে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই চার অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ। সংসদের দাঁড়িয়েও অভিযুক্তদের প্রকাশ্যে গণপিটুনি দিয়ে মারার দাবি জানিয়েছিলেন সপা সাংসদ জয়া বচ্চনও। একই সুর শোনা গিয়েছে অন্যান্য সাংসদদের গলাতেও। এদিকে ক্রমেই চাপ বাড়ছিল রাজ্যে ক্ষমতাসীন সরকারের উপর। এরপরই এক সরকারি অনুষ্ঠানে নিয়ে সর্বোচ্চ শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেছেন কেটিআর।
ঠিক কী বলেছিলেন তিনি? সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার আমলাদের এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে এই নৃশংস ধর্ষণ কাণ্ড সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “সরকারে আছি। তাই সাংসদদের মতো প্রকাশ্যে এমন কিছুই বলতে পারি না। তবে দ্রুত সর্বোচ্চ শাস্তি আমিও চাই। সংসদে দাঁড়িয়েই অনেক সম্মানীয় সাংসদ গণপিটুনি বা শুট অ্যাট সাইটের দাবি জানিয়েছেন। তবে এভাবে তো চলবে না।” এরপরই কেটিআর বিতর্কিত মন্তব্যটি করেন, “দ্রুত সর্ব্বোচ্চ শাস্তিতে আইনই বাধা।” একইসঙ্গে মন্ত্রীর মন্তব্য, “বাকিদের মতোই ওই চারজনের মৃত্যু দেখতে চাই আমিও।” কাকতালীয়ভাবে শুক্রবার সকালেই এনকাউন্টারে চারজনের মৃত্যু হয়।
তেলেঙ্গানা পুলিশের এই পদক্ষেপে খুশি গোটা দেশ। কিন্তু তার মধ্যেও বির্তক শুরু হয়েছে। সেই বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছে কেটিআরের মন্তব্য।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.