ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘প্রয়োজন পড়লে পরীক্ষা করে দেখুন ইভিএম।’ এভাবেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলিকে ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’ জানাতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন।
উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের পর থেকেই সপা-বসপা, আপ-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল ভোট দেওয়ার মেশিনে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিল। ইভিএমে কারচুপি করেই বিভিন্ন রাজ্যে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। জানিয়েছিল তারা। সূত্রের খবর, সেই কথার প্রেক্ষিতেই বিরোধীদের সরাসরি ইভিএম পরীক্ষার আহ্বান জানাতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে ২০০৯ সালেও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একইরকম অভিযোগ উঠেছিল। তখনও ইভিএম পরীক্ষা করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। এবারও তাই চারদিক থেকে ওঠা অভিযোগের কারণে সেই পন্থাই বেছে নিতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এক আধিকারিক জানান, ‘আমরা দ্রুতই একটি দিন ধার্য করে রাজনৈতিক দলগুলিকে ইভিএম পরীক্ষা করার জন্য ডাকব। কীভাবে ভোটযন্ত্রকে বিকৃত করে ভোটে সুবিধা অর্জন করা যায়, সেটা দেখার জন্য এর আগে ২০০৯ সালে একইরকম ভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ডাকা হয়েছিল। কিন্তু কেউ কিছু প্রমাণ করতে পারেনি। এবারও যেহেতু একই অভিযোগ উঠেছে। তাই আমরা ফের একবার সবাইকে ইভিএম পরীক্ষার জন্য ডাকব।’
এর আগে সোমবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ইভিএম বিকৃতির অভিযোগ তুলে বলেছিলেন, মাত্র ৭২ ঘণ্টা সময় দেওয়া হোক তাঁর দলকে। তাহলেই তাঁরা ইভিএম বিকৃতি কীভাবে হয় দেখিয়ে দেবে। শুধু আপ নয়, বসপা নেত্রী মায়াবতী থেকে শুরু করে কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টির একাধিক শীর্ষনেতৃত্ব ইভিএম বিকৃতির অভিযোগ এনেছিল। মায়াবতী যেখানে উত্তরপ্রদেশে ভোটযন্ত্র বিকৃতির অভিযোগ তুলেছিল, সেখানে আপের অভিযোগ ছিল পাঞ্জাবের ভোটে ইভিএম বিকৃতির। যদিও পাঞ্জাবে বিজেপি নয়, জিতেছে কংগ্রেস। বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলেরই দাবি ভিভিপিএটি (ভোটার-ভেরিফায়েবল পেপার অডিট ট্রায়াল) যতক্ষণ না ইভিএমগুলিতে যুক্ত হচ্ছে, ততদিন যেন সেগুলি ব্যবহার না করা হয়।
তবে বিরোধীদের ইভিএম বিকৃতির অভিযোগকে বারংবার নস্যাৎ করে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাঁদের দাবি, ভোট হয়ে গেলেও ইভিএম মেশিন নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বে থাকে। সেক্ষেত্রে সেগুলি বিকৃতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। এখন দেখার কবে রাজনৈতিক দলগুলিকে ইভিএম পরীক্ষার জন্য আহ্বান জানায় নির্বাচন কমিশন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.