নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: কোভিড নয়, ‘রাহুল’ আতঙ্কে ভুগছে কেন্দ্র ও বিজেপি। চিন-সহ বিশ্বের নানা প্রান্তে কোভিডের (COVID-19) নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ ফের বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই তা রুখতে আবারও কোমর বেঁধে নেমেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ‘সুপার স্প্রেডার’ রুখতে ইতিমধ্যেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তাঁর আবেদন, কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় যেন মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবহার হয় এবং শুধুমাত্র জোড়া টিকা নেওয়া ব্যক্তিদেরই যাত্রায় হাঁটার অনুমতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি বলা হয়, একান্ত যদি তা মেনে চলা না যায়, তাহলে যেন যাত্রা আপাতত স্থগিত রাখা হয়।
বৃহস্পতিবার ভারত জোড়ো যাত্রায় (Bharat Jodo Yatra) হরিয়ানায় পৌঁছন রাহুল গান্ধী। সেখানকার এক জনসভায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “যাত্রা কাশ্মীর পর্যন্ত যাবেই। ওরা (বিজেপি) তা বন্ধ করতে নতুন কৌশল নিয়ে এসেছে। আমায় চিঠি লিখে বলল, কোভিড পরিস্থিতি চিন্তা বাড়াচ্ছে, যাত্রা বন্ধ করুন। আসলে ওরা সত্যের জন্য দেশকে একজোট হতে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে।” ভারত জোড়ো যাত্রায় শামিল হতে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ তৃণমূলের সমস্ত সাংসদকে চিঠি দিয়েছেন রাহুল গান্ধী।
কেন্দ্রের কোভিড (COVID-19) আতঙ্ক নিয়ে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, “গুজরাত এবং ওড়িশায় জুলাই, সেপ্টেম্বর ও নভেম্বরে চারটি BF.7 প্রজাতির সংক্রমিতের সন্ধান মিলেছিল। তখন কিন্তু কিছু হয়নি। শনিবার ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রার দিল্লিতে প্রবেশ করছে। তার আগে রাহুল গান্ধীকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী চিঠি লিখলেন। আজ প্রধানমন্ত্রী রিভিউ মিটিং করলেন। এবার আপনারা ক্রোনোলজি (ঘটনাক্রম) বুঝুন…।”
এদিকে, প্রদেশ কংগ্রেসের (Congress) তরফেও ভারত জোড়া যাত্রার প্রস্তুতি চলছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী সাগর থেকে পাহাড় অর্থাৎ গঙ্গাসাগর থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করবে ২৮ ডিসেম্বর।
শনিবার সকালে ফরিদাবাদ থেকে দিল্লি প্রবেশ করবে রাহুলের যাত্রা। ইতিমধ্যেই দিল্লি কংগ্রেসের তরফে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তার আগে আবার কোভিডকে কেন্দ্র করে শুরু হল নতুন ‘রাজনীতি’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.