প্রতীকী ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে (Hunger Index) নেপাল, বাংলাদেশ, পাকিস্তানের (Pakistan) চেয়েও নিচে অবস্থান রয়েছে ভারতের। ২০২০ সালের তুলনায় তালিকায় আরও নিচে নেমে গিয়েছে ভারত। এবার এই সূচকের পরিমাপ পদ্ধতির সারবত্তা নিয়েই প্রশ্ন তুলল কেন্দ্র। দাবি করল, এই তালিকা প্রস্তুতির পদ্ধতিতেই গলদ রয়েছে। তা একেবারেই বাস্তবসম্মত ও তথ্যনিষ্ঠ নয়।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই এই দারিদ্রের মাপকাঠিতে শোচনীয় অবস্থা ভারতের। ২০২০ সালে ভারত ছিল ৯৪তম স্থানে। এবার সেখান থেকে আরও নিচে নেমে ১১৬টি দেশের মধ্যে ১০১ নম্বরে রয়েছে ভারত। তালিকায় ভারতের অনেক আগে রয়েছে নেপাল (৭৬), বাংলাদেশ (৭৬) ও মায়ানমার (৭১)। এমনকী পাকিস্তানও ভারতের থেকে এগিয়ে। তারা রয়েছে ৯২ নম্বর স্থানে।
এই তালিকার কথা প্রকাশ পাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই পদ্ধতি বিজ্ঞানসম্মত নয়। কেন্দ্রের মতে, চারটি প্রশ্নের যে সমীক্ষা থেকে এই তালিকা তৈরি হয়েছে, সেখানে এই প্রশ্নটাই ছিল না যে উত্তরদাতা অতিমারীর সময় সরকারি প্রকল্প থেকে কোনও সাহায্য পেয়েছেন কিনা।
পাশাপাশি আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপালের পুষ্টিগুণের মাপকাঠি বাড়ার যে দাবি করা হয়েছে তালিকায় তাকেও কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, এর থেকে মনে হচ্ছে অতিমারীর কোনও প্রভাবই ওই দেশগুলির উপরে পড়েনি। মন্ত্রকের দাবি, এই পদ্ধতি পুরোটাই অবৈজ্ঞানিক। কেবলমাত্র চারটি প্রশ্নের উত্তর, তাও যেটি টেলিফোন করে জানা হয়েছে, তার ভিত্তিতে তৈরি করা তালিকার সারবত্তা নিয়েই প্রশ্ন।
যৌথভাবে এই তালিকা প্রস্তুত করেছে জার্মানির সংস্থা ‘ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে’ ও আইরিশ ত্রাণ সংস্থা ‘কনসার্ন ওয়ার্লড ওয়াইড’। ক্ষুধা ও অপুষ্টির নিরিখে তৈরি তালিকাটিতে সবচেয়ে ভাল অবস্থানে রয়েছে চিন, ব্রাজিল, কুয়েতের মতো ১৮টি দেশ। তার জিএইচআই স্কোর ৫-এরও নিচে রয়েছে। এদিকে ২০০০ সালে ভারতের স্কোর ছিল ৩৮.৮। কিন্তু ২০১২ থেকে ২০২১- এই সময়কালে ভারতের স্কোর ঘোরাফেরা করছে ২৮.৮-২৭.৫-এর মধ্যে। সাম্প্রতিক সূচক অনুযায়ী, ভারতের অবস্থান ‘উদ্বেগজনক’ বিভাগে রয়েছে। এবার এই তালিকার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল ভারত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.