সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষ করে পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরতে শুরু করার পর থেকে ক্রমশ ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। অভিযোগ উঠছে পরিযায়ী শ্রমিকদের পর্যাপ্ত পরীক্ষা করছে না প্রশাসন। আর সেই কারণেই পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তরপ্রদেশ ও বিহার-সহ কয়েকটি রাজ্যকে বেশি করে ট্রু-ন্যাট মেশিন পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর সাহায্যে পরিযায়ী শ্রমিক ও সন্দেহজনকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ভারতে খুব দ্রুতহারে ছড়াচ্ছে প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা। পরিস্থিতি এখন এমন যে বিশ্বের প্রথম ১০টি করোনা আক্রান্ত দেশের মধ্যে এসে পড়েছে ভারত। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে প্রথম এক লক্ষ সংক্রমণ হতে যেখানে সময় লেগেছিল ১০৯ দিন, সেখানে সংখ্যাটি ২ লক্ষে পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র দু’সপ্তাহে। আরও এতেই চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কপালে। এর একটা কারণ যে পরিয়ায়ী শ্রমিকরা, তা স্পষ্টভাবে না জানালেও কারওর অজ্ঞাত নয়। মন্ত্রকের বক্তব্য, পরিযায়ী শ্রমিক-সহ অন্য করোনা সংক্রমিতদের অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে। নাহলে আসতে পারে আরও বড় বিপদ। যদিও গোষ্ঠী সংক্রমণের তত্ত্ব এখনও মানছে না কেন্দ্র। কিন্তু মে মাসের মাঝামাঝি থেকে দেশের ১৫টি হটস্পট এলাকা ও ৭১টি জেলায় ‘সেরো-সমীক্ষা’ শুরু হয়েছে। করোনা যাতে আরও না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি পৌঁছনো পর তাঁদের পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যদিও পশ্চিমবঙ্গে ট্রু-ন্যাট যন্ত্রের সাহায্যে করোনা পরীক্ষা আগে থেকেই চলছে। চিনের ব়্যাপিড টেস্ট কিটে ত্রুটি ধরা পড়ার পরই আইসিএমআর অনুমোদিত রাজ্যের ছ’টি ভিআরডিএল ল্যাবকে ট্রু-ন্যাট পদ্ধতিতে পরীক্ষার কথা বলা হয়। ১৫টি জেলায় চলছে এই পরীক্ষা। ট্রু-ন্যাট যন্ত্রের সাহায্যে করোনা ভাইরাসের গ্রুপ চিহ্নিত হয়। আইসিএমআর জানিয়েছে, ট্রু-ন্যাটের রিপোর্ট নেগেটিভ এলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। সেই রোগীর দেহে করোনা নেই, এমনই ধরে নিতে হবে। কিন্তু রিপোর্ট পজ়িটিভ এলে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু রাজ্যে ট্রু-ন্যাট ব্যাপক হারে ব্যবহার করতে গেলে আরও অনেক যন্ত্র প্রয়োজন। কিন্তু রাজ্যগুলির কাছে অত যন্ত্রও নেই। তাই আইসিএমআরের পক্ষ থেকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গে ট্রু-ন্যাট যন্ত্র পাঠানো হচ্ছে। এতে করোনা পরীক্ষা দ্রুত করা সম্ভব হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.