Advertisement
Advertisement
গণপিটুনি

‘গণপিটুনি আটকানোর দায়িত্ব কেন্দ্রের একার নয়’, দায় এড়ালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী

পশ্চিমবঙ্গ, কেরলেও গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, সাফাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর৷

Centre skips the responsibility of mob lynching, keep this on State
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 24, 2019 5:38 pm
  • Updated:July 25, 2019 2:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসহিষ্ণুতা, গণপিটুনি ইস্যু নিয়ে ঠিক যেদিন প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন গোটা দেশের মোট ৪০০ জন বিদ্বজ্জন৷ তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এর দায় এড়াতে ব্যস্ত হয়ে উঠল কেন্দ্র৷ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষন রেড্ডি স্পষ্ট জানালেন, গণপিটুনির মতো কাজকর্ম আটকানোর দায় কেবল কেন্দ্রের নয়৷ উদাহরণ টেনে দেখানোর চেষ্টা করলেন, কেবল বিজেপি শাসিত রাজ্যেই নয়, গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটছে অ-বিজেপি রাজ্যগুলিতেও৷

[ আরও পড়ুন: ‘মধ্যস্থতার কোনও প্রশ্নই ওঠে না’, ট্রাম্পের দাবি খারিজ করলেন রাজনাথ ]

Advertisement

বুধবার বিদ্বজ্জনদের এই অভিযোগপত্র প্রকাশ্যে আসতেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশে৷ নড়েচড়ে বসে কেন্দ্র৷ রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা গুলাম নবি আজাদ৷ দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কী ভাবছে বা কী করছে, জানতে চান তিনি৷ তাঁরই প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জি কিষন রেড্ডি স্পষ্ট জানান, ‘‘গণপিটুনির মতো ঘটনা অত্যন্ত অন্যায়৷ কেন্দ্র কোনও দিনই একাজ সমর্থন করে না৷ এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিকে অ্যাডভাইজারিও পাঠানো হয়েছে৷ গণপিটুনি আটকানো একা কেন্দ্রের কাজ নয়৷ কেবল বিজেপি শাসিত রাজ্যেই গণপিটুনির মতো ঘটনা ঘটছে না৷ তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গে, বাম শাসিত কেরলেও এই ঘটনা ঘটছে৷’’ এখানেই শেষ নয়, তথ্য উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১৪-তে কেন্দ্রে মোদি সরকার আসার পর দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সংখ্যা কমেছে। যেখানে ২০১৩-তে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সংখ্যা ছিল ৮২৩টি, সেখানে ২০১৮-তে তা কমে হয়েছে ৭০৮টি।’’

[ আরও পড়ুন: কাশ্মীরে ‘অতি সক্রিয়’ এনআইএ, সংঘাত বাড়ছে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে ]

তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্যকে নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ তিনি মুখে যতই অ্যাডভাইজারির কথা বলুন না কেন, তাঁর বক্তব্যকে সরাসরি দায় এড়ানো হিসাবেই দেখা হচ্ছে৷ অসহিষ্ণুতা যখন গোটা দেশের মানুষের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে যখন একটা ধর্মকে অন্য ধর্মের মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে৷ তখন কীভাবে দায় এড়াতে পারে সরকার, তাই প্রশ্নই তুলছে ওয়াকিবহাল মহল৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement